বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাটা থানার ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উপজেলার কাদিরাবাদের বাসিন্দা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার বরিশালের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (মেহেন্দিগঞ্জ) আদালতে এই মামলা দায়ের করেন।
আদালতের বিচারক শাম্মী আকতার মামলা আমলে নিয়ে সংশ্লিস্ট এএসপি সার্কেলকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন কাজীরহাট থানার ওসি মাসুম তালুকদার, এসআই জহির হাওলাদার, সুমন সিকদার, জহির হাওলাদার, মিজান কাজী ও সোহাগ সিকদার।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে অভিযুক্ত সুমন, জহির, মিজান ও সোহাগ ঘর উত্তোলন করেন। বিষয়টি ওসিকে অবহিত করা হলেও তিনি সাধারণ ডায়েরী করার পরামর্শ দেন। তার পরামর্শ অনুযায়ী সাধারন ডায়েরী করা হলেও পরবর্তীতে ওসি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে সালিশ মনোনীত করেন। সালিশীতে ওই ঘর ভেঙ্গে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওসি ঘর ভেঙ্গে দেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় ওসি ও এসআই জহির বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
এমনকি র্যাব দিয়ে ক্রসফায়ারে দেয়ারও ভয় দেখায় তারা।
পরবর্তীতে ওসি একটি মামলায় জড়িয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। তার নিকটাত্মীয় মিজানুর রহমান সিকদার ওসিকে ১০ হাজার টাকা দেন।
গত ২৮ আগস্ট পুনরায় ওসি তাকে ঘর থেকে গ্রেপ্তার করে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ায় নিকটাত্মীয় মিজানুরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা নেন। গ্রেপ্তারকালে ওসি সহ অপর আসামীরা তার ঘরের স্টিলের আলমারী ভেঙ্গে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার এবং নগদ ৪০ হাজার টাকা লুট করে। ওই মামলায় কারাগারে থাকাবস্থায় ওসি আরো একটি মামলায় তাকে জড়িয়ে দেয়।
গত ২৩ অক্টোবর জামিনে বের হওয়ার পর ২৪ অক্টোবর ওসি মাসুম তালুকদার তাকে হত্যার হুমকি দেয়।