বরিশালের বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুরে ওএমএস’র ৬ বস্তা চাল চুরি করে বিক্রির সময় ক্রেতাকে হাতেনাতে আটক করে থানার এস আই মিনহাজ ছেড়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুুলিশের সাথে ৫০ হাজার টাকা দফারফায় সরকারি চাল নিমিষেই হয়ে যায় ব্যক্তিগত দোকানের চাল। হত দরিদ্রদের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ১০ টাকা কেজি দরে ওএমওস’র চাল চুরি করে বিক্রি এবং আটক করে পুলিশের ছেড়ে দেয়ার এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের এ ক্ষোভ যে কোন সময় বিক্ষোভে রুপ নিতে পারে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের ১,২,৩ ও ৪নং ওয়ার্ডের ওএমএস’র ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির ডিলার সৈয়দ শহীদ। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত চাল বিক্রি শেষ হয়। ডিলার শহীদ মীর বেশি লাভে বিক্রির আশায় নিজের আত্মীয়-স্বজনের নামে বেশ কিছু কার্ড করে সেই কার্ডের চাল গোপনে চুরি করে বস্তায় রেখে দেয়। বুধবার সন্ধ্যায় শহীদ মীর চুরি করা চাল পাদ্রীশিবপুরের কবিরের নিকট বিক্রি করে।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক এক ব্যক্তি জানান, তিনি এ ঘটনা থানার এস আই মিনহাজকে জানালে সে গিয়ে ভ্যানে করে বাড়িতে নেয়ার সময় ৬ বস্তা চালসহ কবিরকে আটক করেন।
বিশ্বস্ত সুত্র জানায়, ডিলার শহীদ চাল চুরির মামলা থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবুর সহায়তায় ৫০ হাজার টাকা দফারফায় এস আই মিনহাজকে ম্যানেজ করে ওএমএস’র ৬ বস্তা চাল সরিয়ে নিউ মার্কেটের মুদি দোকানদার আজিজের কাছ থেকে ৫ বস্তা নতুন চাল কিনে ভ্যানে রাখেন।
এ বিষয়ে আজিজ বলেন তিনি সরকারি চাল বিক্রির কথা শুনেছেন। তবে গতকাল রাতে কবির করে একজন তার নিকট থেকে ৫বস্তা চাল ক্রয় করেছেন। ট্যাগ অফিসার সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা আকতার হোসেন বলেন, পাদ্রীশিবপুরের ডিলারদের মধ্যে শহিদ মীরের আচরণ ভালো নয়। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অভিযোগ পেয়েছিলাম। এ ঘটনা লোক মারফত শুনেছি। তদন্ত করে দেখবো।
পাদ্রীশিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান বাবু বলেন, এস আই মিনহাজ সরকারি চাল নিয়ে যাচ্ছে এ সন্দেহে বুধবার রাতে চালসহ একটি ভ্যান আটক করেছিলো। বস্তা খুলে ব্যক্তিগত চাল দেখে ছেড়ে দেয়। ঘটনা জানতে থানা অফিসার ইনচার্জ আঃ জাঃ মোঃ মাসুদুজ্জামানের সরকারি মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
অভিযুক্ত এস আই মিনহাজ বলেন, তিনি চালসহ কোন ভ্যান গাড়িই আটক করেনেনি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য নয়। পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নবাসী জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ওএমএস ডিলার শহীদ মীরের চাল চুরি করে আত্মসাত এবং এস আই মিনহাজের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।