সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা আধুনিকায়ন ,গভীর সমুদ্র বন্দর পায়রা , পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপন, বরিশাল ঢাকা রেলপথ পর এবার বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরেকটির উন্নয়নে যোগ হয়েছে বরিশাল নগরীর প্রানÍদার গড়িয়ার পার হতে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমটিার চারলেন সড়কের স্থাপনে সিদ্বান্ত। আর এই চার লেনের কাজ শেষ হলেই পাল্টে যাবে বরিশালের চেহারা। হতে পারে সিঙ্গাপুরের ন্যায় শহর। এই সড়কটি হলে নগরীতে কমে আসবে যানজট বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা। ইতিমধ্যে এই চারলেন সড়কের নির্মানের জন্য বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ জমি অধিগ্রহনের জন্য বরিশাল জেলা প্রশাসকের বরাবরে চিঠি প্রদান করেছেন।
তবে চারলেন সড়কটি হওয়ার পাশাপাশি সাধারন মানুষের চলাচল করার জন্য বড় ধরনের ফুটপাত নির্মান ,পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ও সড়ক পারাপারে জন্য ওভার ব্রিজ করার কথা জানেিয়ছেন সড়ক বিভাগ। সেই সাথে এই ১১ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে সরকারী সম্পত্তি অবৈধ দখলকারীর বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়ার মতামত দিয়েছেন এই বিভাগ।
সংশ্লিস্ট সূত্র জানাগেছে এই ১১ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে সড়ক ও জনপদ সহ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিএস , আর এস,এস,এ ও রের্কডীয় সম্পত্তি রয়েছে। এসব সম্পত্তি এখন ভুমি দূস্যদের দখলে। এসব সরকারী সম্পত্তিতে এখন অবৈধ দখলকারীরা দখল করে স্থাপনা তৈরি করে বসবাসের পাশাপাশি ভাড়া দিয়ে আয় করছে কোটি কোটি টাকা।
তবে সড়ক ও জনপদ বিভাগের মতে সাগরদী আমতলা মোড় থেকে শহীদ আবদুর রব সেরেনিয়াবাত সেতু পর্যন্ত বর্তমান সড়কটি সংকুচিত । এমনকি সাগরদী ব্রিজটিও সংকুচিত ও বাকা । অন্যন্ন স্থানের তুলনায় আমতলা মোড় থেকে শহীদ আবদুর রব সেরেনিয়াত সেতু পর্যন্ত বেশি অর্থাৎ ১৩০ থেকে ১৬০ প্রসস্ত করতে হবে। সেই সাথে দুপাশে পুরানো রেকর্ড থেকে অবৈধ স্থাপনা সরাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবে বলেও নিশ্চিত করেছেন এই প্রতিবেদককে।
একাধিক সূত্র থেকে জানাগেছে ৮০ দশকে এই সড়কটি মহাসড়কে পরিনত হলে তৎকালিন সময় বাংলাদেশ সড়ক বিভাগ সাগরদী ব্রিজ ও সড়ক নির্মান করেন। ৮০ দশকে এই সড়ক ও ব্রিজটি যেভাবে হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হয়নি। অভিযোগ রয়েছে মহাসড়কে পরিনত হওয়ার পূর্বে স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী অবৈধভাবে ভুয়া কাগজ তৈরি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে রাখেন। আর এসব সম্পত্তি বাচানোর জন্য তৎকালিন সময় প্রভাব বিস্তার করে সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাকে দিয়ে সাগরদীর ব্রীজটি বাকা তৈরি করায়। এছাড়াও প্রভাবশালীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য সাগরদী এলাকায় সড়ক বিভাগের সড়কের ঘেষে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজীদ ও মন্দির স্থাপন করে। যাতে করে অবৈধভাবে ভাবে স্থাপন হওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরাতে না হয়।
সড়ক ও জনপদ থেকে জানাগেছে, সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা ,গভীর সমুদ্র বন্দর পায়রা , পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপন ,রেল সড়ক স্থাপনের পর এবার বর্তমান সরকারের উন্নয়নের আরেকটির উন্নয়নে যোগ হয়েছে বরিশাল গড়িয়ার পার হতে দপদপিয়া সেতু পর্যন্ত ১১ কিলোমটিার চারলেন সড়কের স্থাপনে সিদ্বান্ত। ইতিমধ্যে চারলেন সড়ক স্থাপনে জমি অধিগ্রহন ,সড়ক নির্মানে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার ব্যয়ে একটি প্রকল্প তৈরি হয়েছে। এতে সড়ক বিভাগ ১১ কিলোমিটার সড়কের দুপাশে মোট ১৬০ ফুট চারলেন সড়ক নির্মান করবে। আর এতে জমি অধিগ্রহনের ৪৭০ কোটি বরাদ্দ হয়েছে বলে জানাগেছে ।
ফোর লেনের বিষয বরিশাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান জমি অধিগ্রহনের বিষয় সড়ক ও জনপদ প্রস্তাব দিয়েছেন । প্রস্তাবটি সংশোদনের জন্য তাদেরকে দেওয়া হয়েছে । সংশোধন শেষে পুনরায় প্রস্তাবটি এলে অধিগ্রহনের কাজ শেষ করা হবে।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় সারাদেশ দেশে উন্নয়নে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে বরিশালে সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে ঢেলে সাজানো ,পায়ার গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মান কাজ চলমান ,পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদুৎ কেন্দ্র স্থাপন ,রেল পথ স্থাপন সহ বড় বড় মেগা প্রকল্প চলমান। এতে এবার চুরান্ত হয়েছে গড়িয়ার পাড় থেকে শহীদ আবদুর রব সেরেনিয়াত সেতু পর্যন্ত ১৩০ ফুট চওড়া ১১ কিলোমিটার ফোরলেন নির্মান। সেই সাথে বাইপাস সড়ক হবে বলেন এই নির্বাহী প্রকৌশলী নিশ্চিত করেন। ১১ কিলোমটারের মধ্যে অবৈধ স্থাপনার বিষয় তিনি বলেন অনেকবার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে দখলদারীদের । কেউ যদি তার সড়কের যায়গার মধ্যে স্থাপনা না সরিয়ে ফেলে তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।