বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ক্যান্টিনের ফ্রিজ থেকে ২০ হাজার টাকার ইলিশ লোপাট!

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অনলাইন ডেস্ক : বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিনের ফ্রিজ থেকে ছাত্রদের কেনা বিশ হাজার টাকার ইলিশ লোপাটের ঘটনা ঘটেছে। মা ইলিশ রক্ষায় মাছ বিক্রি ও ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের দিন মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে দাম কম হওয়ায় প্রায় বিশ হাজার টাকার মাছ কিনে ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখেছিলেন হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে তারা গিয়ে ফ্রিজে কোন মাছ পাননি। এ ঘটনায় শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক ফজলুল হক ওই শিক্ষার্থীদের ইলিশ মাছ পুনরায় কিনে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

শেরেবাংলা হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, গত মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ইমরান হোসেন ও মোক্তার হোসেন প্রায় ২০ হাজার টাকার মাছ কিনে ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখেছিলেন।

এ ব্যাপারে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগের রাতে তারা কয়েকজনে মিলে বিভিন্ন বাজার ঘুরে ইলিশ মাছ কিনে ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখেছিলেন। পূজার ছুটিতে ওই মাছ নিয়ে তাদের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল।’

শরিফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকালে ক্যান্টিনে গিয়ে তিনি ফ্রিজে কোনো মাছ পাননি।

এ ব্যাপারে মোক্তার হোসেন জানান, পূজার ছুটিতে কুমিল্লার গ্রামের বাড়িতে বরিশালের ইলিশ নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি মাছ কিনে ফ্রিজে রেখেছিলেন। কিন্তু ক্যান্টিনের ফ্রিজ থেকে সে মাছ উধাও হয়ে গেছে।’

শেরেবাংলা হলের ক্যান্টিন ব্যবস্থাপক ফজলুল হক জানান, ছুটির কারণে ক্যান্টিন কয়েক দিন বন্ধ ছিল। তিনিও ছুটি কাটাতে বরিশালের বাইরে ছিলেন। তাই ফ্রিজে রাখা মাছগুলো কি হয়েছে তা বলতে পারবেন না। তবে যতগুলো মাছ লোপাট হয়েছে তা সবই তিনি কিনে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এ ব্যাপারে শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, ‘ক্যান্টিনে মাছ রাখার বিষয়টি আমার জানা নেই। অবশ্যই এটি শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারে না। এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেয়াও হয়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা কালীন কেন এতো ইলিশ ছাত্ররা রেখেছে তা তদন্ত করে দেখা হবে।’

জাতীয়প্রচ্ছদবরিশালশিক্ষক বার্তা এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
লাইফ সাপোর্টে থাকা অভিনেতা ও নির্মাতা হুমায়ূন সাধু মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে ফারুকী বলেন, রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন হুমায়ূন সাধু। সেখানেই তার মৃত্যু হয় গত ২৯ সেপ্টেম্বর হুমায়ূন সাধুর প্রথম ব্রেন স্ট্রোক হয়। তখন তাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তর করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এরপর তাকে বিদেশে নিয়ে অস্ত্রোপচারেরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ২০ অক্টোবর হঠাৎ সাধুর দ্বিতীয় ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর তাকে স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ছবির মাধ্যমে অভিনয়ে পথ চলা শুরু হুমায়ূন সাধুর। অভিনয়ের পাশাপাশি নাটকও নির্মাণ করেছেন তিনি।
৫ years ago