ক্যাম্পাসে আধিপত্য অর্জনকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপের মারামারি ও ধাওয়া – পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মুখের বরিশাল – পটুয়াখালী মহাসড়কে এ ঘটনার সূত্রপাত হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে।
এতে আহত হয়েছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মোহাম্মদ রাফি ও রুম্মান হোসেন এবং ভুতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জিদান হোসেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের হাফিজুর রহমান । আহত সকলকে নগরীর শেরে বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘাতে অংশগ্রহণকারী সকলে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন নবম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের নিজেদের গ্রুপে টানতে অষ্টম ব্যাচের দুটি গ্রুপ শুরু থেকেই মুখোমুখি অবস্থানে ছিল৷ সেই অবস্থানের জের ধরেই মঙ্গলবার সংঘাতে জড়ায় ৮ম ব্যাচের নাভিদ গ্রুপ ও রাফি গ্রুপ। আহত রুম্মান হোসেন জানান, নগর বিএনপি নেতার ছেলে নাভিদ দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ট্যাগ লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
নবীন শিক্ষার্থীরা ওর সঙ্গে রাজনীতি না করে আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ায় সে ক্ষিপ্ত ছিল। তাই আজ বিকেলে সে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রথমে রাফি এবং পরে আমার ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাহমিদ জামান নাভিদ বলেন, রাফি প্রথমে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বন্ধু হাফিজের ওপর হামলা চালায় এবং তাকে আটকে রাখে৷ খবর পেয়ে হাফিজকে উদ্ধারের জন্য আমরা ক্যাম্পাসের সামনে আসি। সেসময় আমার উত্তেজিত বন্ধুদের সঙ্গে ওদের হাতাহাতি হয়।
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী আপাতত ক্যাম্পাসে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে৷ পুরো পরিস্থিতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ এখন শান্ত আছে।
ঘটনা শুনে তৎক্ষনাৎ আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি৷ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে৷ এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংঘাতের সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।