বরিশাল বিভাগে মোট করোনা শনাক্ত ১৬৬৯, মৃত্যু ৩৪

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৬৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ৪১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ৩৪ জনের।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় ৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর গেল ২৪ ঘণ্টায় ভোলা, বরগুনা ও ঝালকাঠি ব্যতীত বাকী ৩ জেলায় ১৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন।

পাশাপাশি সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করা বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকার বাসিন্দা ইব্রাহিম (৭৫) এর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসে। ফলে বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশী নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আগত ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ৬ জেলায় মোট ১৮ হাজার ৬০ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

যারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৬ হাজার ৩৮১ জনকে, আর এরমধ্যে ১৩ হাজার ৬৬২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রাতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ১ হাজার ৬৭৯ জন রয়েছেন এবং এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৭ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এর বাহিরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১৮ জন এবং এরইমধ্যে ৪৯০ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যারমধ্যে ১৯ জন করোনা পজিটিভ রোগী ও বাকীরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।

এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানিয়েছেন, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৯৭৮ জন, পটুয়াখালীতে ১৯২, ভোলায় ১৪০ পিরোজপুরে ১২৭, বরগুনায় ১৩৫ ও ঝালকাঠিতে ৯৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে গোটা বিভাগে ৪১৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া মৃত্যু হওয়া করোনা পজিটিভ ৩৪ জনের মধ্যে বরিশাল নগরসহ জেলায় ১৩ জন, পটুয়াখালীতে ১০ জন, ঝালকাঠিতে ৪ জন, পিরোজপুরে ৩ জন, ভোলায় ২ জন ও বরগুনায় ২ জন রয়েছেন।