বরিশাল বিভাগীয় প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির ডাকা কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে বিভাগীয় কমিশনারের সভা কক্ষে বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সমন্বয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশানার মো. শহিদুল ইসলাম, বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান শাহ আলম সরদার এবং বাস মালিক ও শ্রমিক নেতারা। ঝালকাঠি বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. বাহাদুর চৌধুরী জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাওয়া আশ্বাসের ভিত্তিতে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বিকেল থেকেই কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এখন থেকে পূর্বের মতো বরিশাল থেকে সরাসরি ৬ রুটে বাস চলাচল করতে পারবে। ঝালকাঠি মালিক সমিতির গাড়িও বরিশালে আসতে পারবে।
বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, বৈঠকে ঝালকাঠি মালিক সমিতির দাবি গুলোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যরাও যে যার দাবির কথা তুলেছেন। ওই সভার মাধ্যমে একটি উপ-কমিটি করা হয়েছে যেখানে চার জেলার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের রাখা হয়েছে। তারা যৌথভাবে সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করবে, যা পরবর্তীতে সমাধান করা হবে। বরিশাল বিভাগীয় বাস মালিক সমিতির চেয়ারম্যান শাহ আলম সরদার বাংলানিউজকে জানান, সৌহার্দ্যপূণ্য ওই সভায় সবার সমস্যা সমাধানে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে নানা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ২ জানুয়ারি বাস মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সমন্বয়ে বরিশাল সার্কিট হাউজে পরবর্তী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বাস চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে, জেলা ভিত্তিক সড়কের দৈর্ঘ্যের অনুপাত হিসেবে বাস চলাচলের দাবিতে আল্টিমেটাম দেয় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি। এর প্রেক্ষিতে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ঝালকাঠি দিয়ে বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক সড়ক হয়ে বরিশাল, পটুয়াখালী ও বরগুনা বাস মালিক সমিতির সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতি।
ঝালকাঠি মালিক সমিতি বরিশালের রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে রায়াপুরে নিজেদের জেলার অংশে অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড বসিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করে দেয়। এতে বরিশাল থেকে সরাসরি ঝালকাঠি, পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, খুলনা, বাগেরহাট রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং ওই সব রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। পাশাপাশি ১৯ ডিসেম্বর বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে ঝালকাঠি বাস মালিক ও শ্রমিকরা তাদের জেলার অংশে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে বাস ভাঙচুর ও স্টাফদের মারধরের ঘটনা ঘটে।