প্রায় দীর্ঘ মাস বিশ্বব্যাপি কভিড-১৯ করোনা সংক্রমন ভাইরাসের আক্রমনে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন কর্মজীবী মানুষ গৃহবন্দি থাকার পুনরায় রাজধানী কর্মস্থলে যোগ দিতে দ্বীতিয় বৃহতম নদী বন্দর বরিশালের পল্টুনে উপছে পড়া ভীড় জমিয়েছে।
৩য় শেনীর ডেকের যাত্রীদের সামাল দিতে গিয়ে নির্ধাতির সময়ের দেড় ঘন্টা পূর্বে লঞ্চগুলো ছেড়ে যেতে বাধ্য করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।
অন্যদিকে অগ্রিম টিকিট কাটা কেবিন যাত্রীরা ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। এছাড়া মোবাইল আদালত ও র্যাবের বাধার মুখে দুর দুরান্ত থেকে আসা মহিলা-পুরুষ শিশু সন্তানদের নিয়ে কয়েকশত ডেকের যাত্রী লঞ্চে উঠতে না পেরে তারাও হতাশার মধ্যে পল্টুনে আটকা পড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
আজ রবিবার বরিশাল নদী বন্দর থেকে ঢাকার উর্দ্দেশে বিলাশবহুল সুন্দর বন (১১), সুরভী (৯) ও এ্যাডভ্যাঞ্চার নামের তিনটি লঞ্চ বরিশাল নদী বন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে যাবার জন্য সকালে পল্টুনে নঙ্গর করে।
বিকাল ৫ টা বাজার পর থেকে প্রতিটি লঞ্চের ৩য় শেনীর ডেকের যাত্রীরা এক অপরের সাথে গাদাগাদি করে সামাজিক সু-রক্ষা না মেনে যে যার মত করে স্থান দখল করে বিছানা লেচে বসে পড়ে।
এর পূর্বে প্রতিটি লঞ্চে যাত্রীদের লঞ্চে টানেলের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করতে হয় লঞ্চে এছাড়াও কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের শরীরে জীবনুনাশক ¯েপ্র করা সহ হাতে হ্যান্ড স্যানিরাইজার দিয়ে ভিতরে যেতে হচ্ছে সাধারন যাত্রীদের।
অন্যদিকে ডেকের যাত্রীদের মধ্যে দেখা যায় অনেক যাত্রীদের ছিল না মাক্স সেই সাথে তাদের শিশু সন্তানদের মুখেও মাক্স ছিল না।
সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান একদল র্যাব সদস্য নিয়ে নদী বন্দরে সে প্রতিটি লঞ্চের প্রবেশ করে ডেকের যাত্রীদের অবস্থা দেখে সাথে সাথে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে ডেকে লঞ্চের ডেকের পথ বন্ধ করে দেয় সেই সাথে নতুন করে ডেক যাত্রীদের উঠতে বাধা প্রদান করা হয়।
এমনকি ভ্রাম্যামান আদালতের সদস্যরা ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে পল্টুনে থাকা সকল যাত্রীদের বেড় করে দিয়ে টারমিনাল সহ পল্টুনে প্রবেশ পথের গেট বন্ধ করে দেয়।
এরপরও সাধারন যাত্রীদের ভীড় সামাল দিতে প্রতিটি লঞ্চের নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘন্টা পূর্বে সন্ধা সোয়া ৭টার দিকে লঞ্চগুলো ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়।
অপরদিকে অগ্রিম টিকিট কাটা কেবিন যাত্রীরা লঞ্চের বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে ঘাটে এসে লঞ্চ না পেয়ে তারা চরম দূর্ভোগের মধ্যে পড়ে যান।
এর পূর্বে ভ্রাম্যমান আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন ডেকের যাত্রীরা কেহ সামাজিক নিরাপত্তায় বজায় না রেখে অতিরিক্ত গাদাগাদি করে বসে আছে।
এসকল যাত্রীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে ও অতিরিক্ত ভীড় নিয়ন্ত্রন করার জন্য আমরা কাজ করছি। পড়ে লঞ্চগুলো যাত্রীদের লঞ্চে উঠা সামাল দিতে না পেরে সময়ের পূর্বে নদী বন্দর ত্যাগ করে।
উল্লেখ্য পূর্বেও বরিশাল নদী বন্দর থেকে প্রতিদিন ৬ থেকে ৭টি লঞ্চ বরিশাল-ঢাকা আসা যাওয়া করে থাকে সেখানে ৩টি লঞ্চ থাকার কারনে এসকল যাত্রী সাধারন দূর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়।