বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

মাদারীপুরে একই স্থানে পক্ষে-বিপক্ষে মানববন্ধন করাকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার সকালে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন সাংবাদিক, তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের সময় আটটি মোটরসাইকেল, বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়।

জানা গেছে, মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি মৌলভী আছমত আলী খানকে নিয়ে মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার কটূক্তিমূলক বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে কদিন ধরে কর্মসূচি পালন করে আসছে। শাজাহান খান গ্রুপের নেতাকর্মীরা এই প্রতিবাদসভা ও মানববন্ধন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কলাবাড়ি স্ট্যান্ডে একটি মানববন্ধনের আয়োজন করে তারা।

 

অপরদিকে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোল্লা গ্রুপের সমর্থকরা একই সময় মানববন্ধন করতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘটকচর স্ট্যান্ডে আটটি মোটরসাইকেল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও কৃষি ব্যাংকসহ কয়েকটি অফিসের জানালা ভাঙচুর করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য, এক সাংবাদিকসহ ১৫ জন আহত হয়। এ সময় প্রায় আধাঘণ্টা মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. এহসানুল রহমান ভূঁইয়া জানান, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। কেউ অভিযোগ দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।