বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন।
শনিবার বিকেল ৪ টায় আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় দলীয় প্রার্থী হিসাবে তাকে মনোনিত করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন নিজেই।
এরআগে, আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভা শনিবার বিকেল ৪ টায় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে, বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলের মনোয়ন আওয়ামী লীগের আরো ৫ নেতা আবেদন করেন। গত বৃহস্পতিবার শেষ দিন পর্যন্ত এই ৫ নেতা দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে ফরম জমা দেন।
এরা হলেন, বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. মইদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খান আলতাফ হোসেন ভুলু, দলের মহানগর সহ-সভাপতি ভিপি আনোয়ার হোসাইন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আনিসুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিলু।
কিন্তু শনিবার আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থী হিসাবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী (পিপি) অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নাম ঘোষণা করেন।
বরিশাল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নরুল আলম বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক। আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচন হবে। ভোট হবে ইভিএমে। তবে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। নির্বাচনে জেলার মোট ১২৯১ জন ভোটার চ‚ড়ান্ত হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৯৮১ এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ৩১০ জন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে জেলা পরিষদগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হয়। ওই নির্বাচন প্রধান বিরোধী দলগুলো বয়কট করায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরাই জেলার চেয়ারম্যান হন।
এছাড়া ১৩ জেলায় স্বতন্ত্র হিসেবে যারা জয়ী হন, তাঁরাও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ দিন পর গত ১৭ এপ্রিল দেশের ৬১ জেলা পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এই সদ্য বিদায়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদেরই আবার প্রশাসক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত ৩১ আগস্ট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচনের তফসিলে ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।