বরগুনায় সেতুর ওপর সাঁকো বানিয়ে পারাপার ভেঙে গেল সাঁকোটিও

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরগুনার আমতলীতে ব্রিজ ভেঙে যাওয়ার এক বছরেও মেরামত হয়নি। চাওড়া নদীর ওপর নির্মিত আমড়াগাছিয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি স্বেচ্ছাশ্রমে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চলাচল করতেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিজের উপর দেওয়া বাঁশের সাঁকোটিও ভেঙে পড়ে যায় নদীতে। এতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের।

জানা গেছে, ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ চাওড়া নদীতে আমড়াগাছিয়া বাজারের সংলগ্ন স্থানে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে নির্মাণ করায় ব্রিজটি নড়বড়ে ছিল।

২০১৬ সালে ব্রিজটির মাঝখানের অংশ ভেঙে পড়ে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় চাওড়া, কুকুয়া এবং গুলিশাখালী ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ তাৎক্ষণিক ওই ব্রিজের ভাঙা অংশ মেরামত করে।

মেরামত করার পরে ওই ব্রিজ দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। কিন্তু প্রকৌশল বিভাগের নিষেধ উপক্ষো করে ট্রাক ও ট্রলির মালিকরা ওই ব্রিজ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে।

২০২০ সালের ১০ জুন ইটবোঝাই ট্রলি পারাপারের সময় ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে ট্রলিটি নদীতে পড়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েন তিন ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ। ব্রিজ পার হয়ে আমড়াগাছিয়া বাজার, গোজখালী বাজার, গুলিশাখালী বাজার, কলাগাছিয়া বাজার ও আমতলী উপজেলা শহরে কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া ও মানুষ যাতায়াত করতে হয়।

এছাড়া খেকুয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাইনবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গোজখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গোজখালী মাজার শরীফসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওই ব্রিজটি দিয়ে চলাচল করে। এক বছর ধরে স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।

সরেজমিন দেখা গেছে, ব্রিজের মধ্যেভাগের অংশে বাঁশের সাঁকোটি বৃহস্পতিবার ভেঙে পড়ে গেছে। স্থানীয় সজিব আহমেদ বলেন, চাওড়া নদীর ওপর আমড়াগাছিয়া ব্রিজ দিয়ে তিনটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করত। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের মানুষ পারাপার হচ্ছেন।

গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এইচএম মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ব্রিজে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনটি ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ পারাপার হতো।

আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ওইখানে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পাঠানো আছে। অনুমোদন হলেই গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।