বরগুনায় বস্তা নিতে না পারায় শিশুর হাত পায়ে সুঁচ ঢুকিয়ে নির্যাতন

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

অনলাইন ডেস্ক// বরগুনার তালতলী উপজেলার কলারং গ্রামে কাজ না করায় ১০ বছরের শিশু ২য় শ্রেনীর ছাত্রকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে, তালতলী উপজেলা পঁচাকোড়ালিয়া ইউপির কলারং গ্রামের দিনমজুর সাইদুল মিয়ার শিশু পুত্র হুলাটানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ তার বাড়ীর পার্শ্ববর্তী শহিদুল মিয়ার বাড়ীতে প্রায়ই টিভি দেখতে যেত।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুরের সময় পারভেজ (১০)কে বাড়ী থেকে টিভি দেখার কথা বলে ডেকে আনে শহিদুল । ডেকে আনার পর শহিদুল তার স্ত্রী নাজমা বেগম পারভেজ কে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করায়। এক পর্যায়ে নাজমা ও শহিদুল পারভেজের মাথায় প্রায় ৩০/৩৫ কেজি ওজনের বয়লারের খাবারের বস্তা মাথায় তুলে দেয় বাসা থেকে শহিদুলের মুরগীর খামারে নিয়ে যাওয়ার জন্য।

বস্তা তুলে দেয়ার সাথে সাথে পারভেজের মাথা থেকে বস্তা পরে যায়। তখন শহিদুল ও নাজমা বেগম পারভেজকে মারধোর করেন। মারধোরের এক পর্যায়ে নাজমা পারভেজের হাত ও পায়ে সুজ ঢুকিয়ে দেয়। এতে পারভেজ তাৎক্ষনিক অজ্ঞান হয়ে পড়েন।

এ খবর পারভেজের বাড়ী পৌছিলে বাড়ীর লোকজন পারভেজকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন।

বৃহস্পতিবার সকালে আমতলী হাসপাতালে বসে …সাংবাদিকদের পারভেজ বলেন, আমি বয়লারের খাবারের বস্তা নিতে না পারায় শহিদুল ও নাজমা চাচী মারধোর করে হাতে পায়ে সুইজ ঢুকিয়ে দেয় এ কথা বলে হাউ মাউ করে কেদে ফেলেন।

পারভেজের পিতা সাইদুল বলেন, আমি ঢাকায় শ্রমিকের কাজ করি এ খবর শুনে ঢাকা থেকে এসেছি । বিষয়টি তালতলী থানার ওসি সাহেবকেও জানাইছি।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিনিউটি মেডিকেল অফিসার গৌরাঙ্গ হাজরা বলেন, পারভেজের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও বুকে প্রচন্ড আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখন কিছুটা সুস্থ।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি মারধোরের কথা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি তো মিমাংসা হওয়ার পথে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায় বলেন মৌখিক ভাবে শুনেছি লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। সুনির্দ্ধিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।