বরগুনায় নিজেদের টাকায় এলাকাবাসী তৈরি করল ভাসমান সেতু

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

বরগুনার আমতলী উপজেলার মহিষডাঙ্গায় নিজস্ব অর্থায়ন ও স্বেচ্ছাশ্রমে ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছেন এলাকাবাসী।

এর মধ্য দিয়ে দুই ইউনিয়নের ২০ হাজার মানুষের যোগাযোগ সমস্যার সমাধান হয়েছে।

জানা যায়, আমতলী সদর ও চাওড়া ইউনিয়নে চাওড়া নদীর দুই ইউনিয়নের সংযোগ স্থাপনে লোহার সেতু নির্মাণ করা হয়।

গত ২৫ জুন সেতুটি ভেঙে নদীতে পড়ে। এতে চাওড়া ও আমতলী সদর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

সেতু ভেঙে পড়ার দুই মাসেও স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী লোহার ভাঙা সেতুতে ভাসমান সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

তারা লক্ষাধিক টাকা চাঁদা তোলেন। ওই টাকা দিয়ে বাঁশ, প্লাস্টিকের ড্রাম, লোহা, দড়িসহ অন্যান্য উপকরণ কিনে স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

গত রোববার সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়। ধসে যাওয়া সেতুর স্থলে ২০টি প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর লম্বা বাঁশ বেঁধে তার ওপর তক্তা দিয়ে কাঠের পাটাতন তৈরি করে সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

সেতুর ভাঙা জায়গা থেকে উপরের মূল সেতুতে উঠতে নির্মাণ করা হয়েছে একটি দীর্ঘ কাঠের সিঁড়ি।

মহিষডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ বলেন, সরকারিভাবে সেতুটি মেরামত না হওয়ায় আমরা দুইপারের গ্রামবাসী মিলে লোহার ভাঙা সেতুতে ভাসমান সেতু নির্মাণ করেছি।

এতদিন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ ছিল। ভাসমান সেতু নির্মাণ করায় যোগাযোগ আবার চালু হয়েছে।

কাউনিয়া গ্রামের রাজ্জাক মোল্লা বলেন, সেতুটি ধসের পর মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং হাফেজি মাদ্রাসার ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

এই সেতু নির্মাণের ফলে ছেলেমেয়েরা আবার পড়ালেখার জন্য যাতায়াত করতে পারছে।

কাঠের সেতু নির্মাণ করলেও এলাকাবাসী দ্রুত গার্ডার সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, মহিষডাঙ্গা এবং কাউনিয়া গ্রামের মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে সেতু মেরামত করছে। গ্রামবাসীর এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।

আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সেতুটি ধসে পড়ার পর এখানে একটি গার্ডার সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু করা হবে।