 
                                            
                                                                                            
                                        
ফুটফুটে এক ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন বাকপ্রতিবন্ধী ভারসাম্যহীন এক কিশোরী। তবে সন্তানের জন্ম দিলেও সন্তানের বাবার পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এরপর ওই কিশোরীর নানি বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই বরগুনা থানায় ধর্ষক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করেন।
জাহাঙ্গীর হোসেন বরগুনা সদর উপজেলার ক্রোক গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার মেয়ে ও নাতনি বরগুনা সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডস্থ জহিরুল ইসলামের টিনশেড বাসায় ভাড়া থাকেন। ধর্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন প্রায়ই তাদের বাসায় যাতায়াত করতেন।
২০২২ সালের ১ জানুয়ারি রাত অনুমান ১০টার সময় তাদের বাসায় আসে জাহাঙ্গীর। এ সময় বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জাহাঙ্গীর কিশোরীকে কৌশলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম ধর্ষণ করে। জাহাঙ্গীর সুযোগ পেলেই কিশোরীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করত।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ৭ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরই মধ্য কিশোরীর শারীরিক গঠন পরিবর্তন হতে দেখে কিশোরীর মা ও বাদী জিজ্ঞাসা করলে আকার ইঙ্গিতে জাহাঙ্গীরের কথা বলে কিশোরী।
বাদী বলেন, এ ঘটনার বিষয় আমি জানতে পেরে জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে আমার নাতনিকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। মঙ্গলবার ভোরে আমার নাতনির একটি পুত্রসন্তান হয়। জাহাঙ্গীর আমার নাতনিকে এখন বিয়ে করতে চায় না। আমার নাতনিকে বিয়ে না করার কারণে মামলা করেছি।
মঙ্গলবার সকালে বরগুনা সদর হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে স্বাভাবিক জন্ম নেওয়া শিশুকে নিয়ে ভর্তি হয় ওই কিশোরী। দুপুরে খবর পেয়ে অসুস্থ মা ও শিশুকে বরগুনা সদর হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ডে দেখতে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুভ্রা দাস বলেন, খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে হাসপাতালে মা ও সন্তানের জন্য খাবার ও পোশাক উপহার নিয়ে যাই। পাশাপাশি চিকিৎসা ও পরবর্তীতে তাদের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছে। বসন্তের প্রথম দিনে জন্ম হওয়ায় জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান স্যার নবজাতক শিশুর নাম দিয়েছেন রক্তিম।
আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন পলাতক থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহম্মদ বলেন, কিশোরীর নানি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা আসামিকে গ্রেফতার করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।