র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল
কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রইছ উদ্দিন, এর
নেতৃত্বে অদ্য ১২ মে সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময়
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন রুপধন কাটাখালী এলাকা হতে ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া
১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় মুল অপহরণকারী মোঃ মনির মীর(২৭), পিতাঃ মোঃ আঃ খালেক মীর, সাং- রুপধন কাটাখালী,
কাকচিরা ইউনিয়ন, থানাঃ পাথরঘাটা, জেলাঃ বরগুনাকে আটক করা হয়। ঘটনার
বিবরণে জানা যায় যে, আটক আসামী মোঃ মনির মীর নিজেকে পটুয়াখালী সদরের
হেতালীয়া বাধঘাট এলাকায় অবস্থিত একটি খানকাহ শরীফের ফকির পরিচয় দিয়ে
আনুমানিক ৩/৪ মাস পূর্বে আস্তানা গড়ে তুলে।
এ সময় উক্ত খানকাহ শরীফের পাশেই অবস্থিত ভিকটিমের পরিবারের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে। এ ছাড়া খানকাহ
শরীফের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন বাড়িতে গুপ্তধন উদ্ধারের গুজব ছড়ায়। ভিকটিমের
পরিবারকেও গুপ্তধন উদ্ধারের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ১৪ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে
গত ০৯-০৫-২০২০ইং তারিখ ভন্ড ফকির মোঃ মনির মীর পালিয়ে যায়।
এ সংক্রান্তে অপহৃত ভিকটিমের পরিবার বিভিন্ন যায়গায় খোঁজাখুজি করেও কোথাও না পেয়ে
ভিকটিমের মা পটুয়াখালী সদর থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন (পটুয়াখালী থানার জিডি নং-৩৮৮ তারিখ ১১-০৫-২০২০ইং) এবং অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধারে র্যাবের সহাযোগিতা কামনা করেন।
তদপ্রেক্ষিতে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল অদ্য ১২ মেসকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানাধীন রুপধন কাটাখালী
এলাকায় অবস্থিত একটি বাড়ি থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
এসময় মূল অপহরণকারী মোঃ মনির মীর(২৭), কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকেও
হাতেনাতে আটক করা হয়। স্থানীয় লোকজনের নিকট হতে জানা যায় যে মোঃ মীর
মনির একজন প্রতারক ও ভন্ড ফকির। ইতিপূর্বে সে ২টি বিবাহ করে এবং তার ২টি
সন্তান রয়েছে। এই কিশোরী ভিকটিমকে বিয়ে করার জন্য সে বিভিন্ন কৌশল
অবলম্বন করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়। উদ্ধারকৃত ভিকটিম ও
আটককৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে
ভিকটিমের মা বাদী হয়ে পটুয়াখালী থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।