 
                                            
                                                                                            
                                        
কম্বোডিয়ায় জনপ্রিয় বাঁশের ট্রেন বন্ধ হতে চলেছে। নরিয়েস নামে পরিচিত এ ট্রেন অনেকের জীবিকার অবলম্বন। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা আধুনিক করতে সরকারের পরিকল্পনায় উদ্বিগ্ন তারা। তবে, রেল প্রশাসন বলছে, এনিয়ে এখনো চুড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ট্রেনের গতি বাড়িয়েই চলেছে। কিন্তু এখনো এমন অনেক দেশ আছে, যাদের রেল ব্যবস্থা পড়ে আছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে।কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্যাটমব্যাং থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে দেখা যায় বাঁশের তৈরি বিশেষ ধরনের ট্রেন। চলাচল করে মূল রেল লাইনের ওপর দিয়েই। এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ।
তবে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। থাই সীমান্তের কাছে মূল রেল লাইনের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে বন্ধ হবে বাঁশের তৈরি ট্রেন চলাচল। কারণ ওই রেল লাইনগুলো অন্য ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যস্ত থাকবে। এনিয়ে উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা।বাঁশের ট্রেনকে কেন্দ্র করে চারপাশে গড়ে উঠেছে ক্ষুদ্র ব্যবসা। তার ওপরই নির্ভরশীল আরও ৫০ পরিবার।
একটি বাঁশের ট্রেন তৈরি করতে ৩ মিটার লম্বা কাঠের কাঠামোর দরকার হয়। আর এগুলো তৈরি করতে ৫শ ডলার খরচ পড়ে। ৬-হর্সপাওয়ার গ্যাসোলিন ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। এতে এক সঙ্গে ১৫ জন মানুষ উঠতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার।
এখানে আসা পর্যটকদের মূল আকর্ষণ এ বাঁশের ট্রেন। দুই জন ৩০ মিনিট ধরে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারে ১০ ডলারে। আর শিশুদের জন্য ফ্রি। এ থেকে চালকরা প্রতিদিন সাড়ে সাত থেকে সাড়ে বারো ডলার পর্যন্ত আয় করে।