রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে গুণী অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদকে। এমন সিদ্ধান্তই জানিয়েছে তার পরিবার।
শর্মিলী আহমেদের বোন অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি জানিয়েছেন, তার বোনের জানাজা জোহরের নামাজের পর রাজধানীর উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টর মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মরদেহ রাখা হবে উত্তরার বাসায়। সেখানে ঘণ্টা দুইয়েক রাখা হবে আত্মীয়-স্বজনদের দেখার জন্য।
বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে নন্দিত এ অভিনেত্রীকে। স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদের কবরের পাশেই তাকে চিরঘুমে শায়িত করা হবে বলে জানিয়েছেন বোন জলি।
শর্মিলী আহমেদের পারিবারিক নাম মাজেদা মল্লিক। অনেকদিন ধরেই মরণব্যাধি ক্যানসারের সঙ্গে লড়ছিলেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) সকালে অবস্থার আশঙ্কাজনক অবনতি হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৪৭ সালের ৮ মে রাজশাহীতে জন্ম শর্মিলী আহমেদের। মাত্র চার বছর বয়সে তার অভিনয়ে হাতেখড়ি। রাজশাহী বেতারের শিল্পী ছিলেন তিনি। ষাটের দশকে চলচ্চিত্র অঙ্গনে ক্যারিয়ার শুরু। যদিও তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঠিকানা’ (উর্দু ভাষায় নির্মিত) আলোর মুখ দেখেনি। পরে সুভাষ দত্তের ‘আলিঙ্গন’, ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ এবং ‘আবির্ভাব’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পান তিনি।
বেতারে শর্মিলী আহমেদের ক্যারিয়ার শুরু হয় ১৯৬২ সালে। ১৯৬৪ সালে তিনি সিনেমায় অভিনয় শুরু করেন। তাকে মায়ের ভূমিকায় সর্বপ্রথম দেখা গিয়েছিল ১৯৭৬ সালে মোহাম্মদ মহসিন পরিচালিত ‘আগুন’ নাটকে। তার স্বামী রকিবউদ্দিন আহমেদও ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক। তার নির্মিত ‘পলাতক’ ছবিতে অভিনয় করেন স্ত্রী শর্মিলী আহমেদ।
সাবলীল অভিননে সবার হৃদয় জয় করা শর্মিলী আহমেদ এ পর্যন্ত প্রায় ৪০০ নাটক ও ১৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হলেও পরবর্তীকালে মা, দাদি ও ভাবির চরিত্রে দর্শকদের মনে ঠাঁই করে নেন শর্মিলী আহমেদ।