ফুরিয়ে যাচ্ছে ওষুধ, শ্রীলঙ্কায় বাজছে মৃত্যুঘণ্টা

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ফুরিয়ে যাচ্ছে ওষুধ, শ্রীলঙ্কায় বাজছে মৃত্যুঘণ্টারোববার (২২ মে) কলম্বো বন্দরে পৌঁছেছে ভারতের ২৫ টন চিকিৎসা সহয়তা।

অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ওষুধের ঘাটতি শিগগির ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনছে বলে সতর্ক করেছেন শ্রীলঙ্কার চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীরা। তারা জানিয়েছেন, ওষুধের অভাবে রোগীদের হাহাকার যেন ‘মৃত্যুঘণ্টার’ মতো বাজছে।

শ্রীলঙ্কার চিকিৎসা সরঞ্জামের ৮০ শতাংশই আমদানিনির্ভর। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফুরিয়ে যাওয়ায় দ্রুতই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ শেষ হয়ে আসছে। ওষুধ ঘাটতিতে হাসপাতালগুলো রোগীদের সেবা প্রদান স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছে।

ওষুধের ঘাটতিতে রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে অ্যাপেক্সা ক্যান্সার হাসপাতালে নেমে এসেছে চরম মানবিক বিপর্যয়। হাসপাতালটির কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, সংকটের মুখে রোগী, তাদের প্রিয়জন এবং ডাক্তাররা চরম অসহায় বোধ করছেন।

অ্যাপেক্সা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. রোশন অমরাতুঙ্গা বলেন, ‘ক্যানসার রোগীদের জন্য এটা খুবই খারাপ। যেহেতু সরবরাহ নেই, কখনও কখনও, সকালে আমরা কিছু অস্ত্রোপচারের পরিকল্পনা করি। পরে আবার তা বাতিল করি।’’ তিনি জানান, পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি না হলে বেশ কয়েকজন রোগী ‘মৃত্যুদণ্ডের’ মুখোমুখি হবেন।

চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য কাজ করা একজন সরকারি কর্মকর্তা সামান রথনায়েক বলেন, ‘ডায়ালাইসিস রোগীদের জন্য ইনজেকশন, ট্রান্সপ্লান্ট করা রোগীদের জন্য ওষুধ এবং ক্যানসারের ওষুধসহ প্রায় ১৮০টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ফুরিয়ে গেছে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ভারত, জাপান এবং বহুপাক্ষিক দাতারা ওষুধ সরবরাহ করতে সহায়তা করছে। তবে তা পৌঁছতে চার মাস সময় লাগতে পারে।’

১৯৩৫ সালে স্বাধীনতার পর থেকে সবচেয়ে বিধ্বংসী অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির পর্যটননির্ভর অর্থনীতিকে ধ্বংসের জন্য করোনা মহামারিকে দায়ী করা হচ্ছে। অর্থাভাব এবং বিপুল বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে অক্ষমতায় দেশটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।