প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রশাসনে ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে। এরমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) নতুন সচিব নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন একজন কর্মকর্তা।

চুক্তিতে মেয়াদ বেড়েছে প্রতিরক্ষা সচিবের। বিএসটিআই ও জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা-প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) নতুন মহাপরিচালক ছাড়াও পেট্রোবাংলায় চেয়ারম্যান এবং যানবাহন অধিদফতরের নতুন পরিবহন কমিশনার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ের একজন সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন।

এই রদবদল এনে বৃহস্পতিবারের স্বাক্ষরিত আদেশ শুক্রবার জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

আইএমইডির সচিব মো. মফিজুল ইসলামকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। অন্যদিকে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ আইএমইডির ভারপ্রাপ্ত সচিব নিয়োগ পেয়েছেন।

পরিকল্পনা কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সদস্য (ভারপ্রাপ্ত সচিব) দিলওয়ার বখতকে পদোন্নতি দিয়ে সচিব করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন ভূইয়া চুক্তিতে আরও এক বছরের জন্য নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর আখতার হোসেনের অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল। তার পিআরএল বাতিলের শর্তে ৩১ ডিসেম্বর বা যোগদানের তারিখ থেকে এই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কার্যকর হবে বলে আদেশে বলা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান নিয়োগ পেয়েছেন।

তাছাড়া অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সুশান্ত কুমার সাহা জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) মহাপরিচালক এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত ওএসডি অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আব্দুল মমিন সরকারি যানবাহন অধিদফতরের পরিবহন কমিশনার হয়েছেন।

অবসরোত্তর ছুটি ভোগরত বিসিএস রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন মিয়াকে এক বছরের চুক্তিতে ঢাকা ম্যাস র্যাপিট ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগনাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্রাক) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুব উল আলমকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক ত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য ম্যাস র্যাপিট ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (লাইন-১) অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (সিভিল, ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানিং এবং ইউটিলিটি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

আইটি টেককরোনা ভাইরাসপ্রচ্ছদ এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৬ years ago