 
                                            
                                                                                            
                                        
ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মালিহা আক্তার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মনমুগ্ধকর বক্ত্যবর মাধ্যমে মুগ্ধ করলেন। একই সাথে তিনি দ্বীপ জেলা ভোলায় আসার আমন্ত্রন জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে।
আজ বুধবার সকালে সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভোলার গ্যাস ভিত্তিক ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্টের (বিদ্যুৎ কেন্দ্র) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালিহা ভোলার শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হিসাবে বক্তব্য তুলে ধরার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মুগ্ধ করেন।
এসময় মালিহা ভোলার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সামনে থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বলেন, যে মহিয়সী নারী মানবতার অগ্রদূত, বিশ্ব শান্তিরদূত, পদ্মা সেতু ও মেট্রো রেল বাস্তবায়ন করেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করেছেন তার সাথে কথা বলতে পারব এটি আমি কখনও কল্পনাও করিনি।
আপনি ভোলায় শাহাবাজপুর ও ভেদুরিয়ায় পুথক দুটি গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপান করেছেন। শাহাবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রকে কেন্দ্র করে ২২৫ মেগাওয়াট ও সাড়ে ৩৬ মেঘাওয়াট ক্ষামতা সম্পন্ন দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ায় আমাদের মত শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাশে ডিজিটাল কন্টেইন এর মাধ্যমে আনন্দের সাথে পড়ালেখা করতে পারছি। এবং কম্পিউটার ল্যাবে আমরা কম্পিউটার দক্ষ হয়ে উঠতে পারছি। এছাড়াও আপনার দক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত ৯ বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন তিন গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিদা পাচ্ছে। আপনি ভোলারও অনেক উন্নয়ন করেছেন, যার কারনে আমরা অনেক উপকৃত হয়েছি এবং আমরা অনেক আনন্দিত। কিন্তু আমরা ভোলাবাসী বাংলাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মিত হলে আমাদের সকলের প্রত্যাশা পূরন হবে। আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বেই আমাদের এই প্রত্যাশাপূর্ণ হবে বলে মনে করি। সেই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে ভোলা জেলার সকলের পক্ষ থেকে এ অপরূপ দ্বীপ জেলা ভোলায় আসার আমন্ত্রন জানাচ্ছি।
সবশেষে মালিহা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কবিতার দুটি চরণ বলে তার কথা শেষ করেন। “ হে বীর কন্যা শেখ হাসিনা, দেখেছি তোমায় রাজ্য পরিচালনা অপূর্ব এক ধরণ, অন্যায়কে করেছ পরিহার সত্যকে করেছ বরণ”।
মালিহার কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুগ্ধ হয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে মালিহাকে ভালভাবে পড়ালেখা করার কথা বলেন। যাতে করে আগামীতে ভাল রেজাল্ট করতে পারেন। এবং ইতোমধ্যে ভোলা-বরিশাল ব্রিজ নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ঠদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম ছিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরেন।পরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সাথে যুক্ত হন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল, সিভিল সার্জন ডা. রথিন্দ্র নাথ মজুমদার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামাল হোসেনসহ সরকারি দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক ব্যাক্তি বর্গ, ভোলা জেলার বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মালিহা তার অনুভতি প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে কথা বলার অনুভতি আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারবোনা। আমি স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদার অব হিউম্যানিটি বিশ্বের শান্তির নেতার খ্যাত শেখ হাসিনার সাথে কথা বলতে পারবো। এ যেন এক স্বপ্ন এসে সত্যি রুপে হাজির হয়েছে। আমাকে যখন কথা বলার সুযোগ দিলো তখন আমি খুব আনন্দিত হলমা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে ভালো ভাবে পড়াশোনা করার কথা বলেছে। আমি চেষ্টা করবো পড়াশোনা করে ভালো রেজাল্ট করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা রাখতে।
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী মালিহা ক্লাশে রোল নং -০১। তার বাবা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: আকতার মনজু ও মা বিবি মরিয়ম এর অনুপ্রেরনায় সকল ভালো কাজে উৎসাহ দেয় বলে জানায় মালিহা। মালিহা স্বপ্ন দেখে ভবিষ্যৎতে এক জন ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার। সে স্কুলে এক জন ভালো বির্তাকিক।