ভোলার দৌলতখান উপজেলার জেলে পরিবারের ১২ বছরের জন্মান্ধ শিশু জিহাদকে সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখাতে তার সকল চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
শিশু জিহাদ উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে। জিহাদ জন্ম থেকেই এই পৃথিবীর আলো দেখতে পায়নি। বর্তমানে জিহাদের চোখ অপারেশন করে নতুন চোখ প্রতিস্থাপন করতে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন প্রক্রিয়া চলছে।
জিহাদের পরিবার বলছে, তিন মাস আগে শিশু জিহাদকে এমপি আলী আজম মুকুলের বাসায় নিয়ে যায় তার পরিবার। পরে এমপি মুকুল অন্ধ শিশুটিকে ঢাকা নিয়ে ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে ডাক্তার দেখান।
হাসপাতালের চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, তার চোখে অপারেশন করানো যাবে না। তবে দুটি নতুন চোখ পেলে সেটা প্রতিস্থাপন করানো যাবে। এরপর ওই শিশুটির পরিবার একরকম হতাশা নিয়েই বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু এমপি মুকুল সবসময় হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, একজন মৃত ব্যক্তির চক্ষু পাওয়া গেছে। পরে শিশু জিহাদকে দ্রুত ঢাকা এনে এমপি মুকুল নিজেই হাসপাতালে গিয়ে তাকে ভর্তি করান। দুই-একদিনের মধ্যেই তার চোখে নতুন চোখ প্রতিস্থাপন করা হবে। এতে ব্যয় হবে দেড় লাখ টাকা।
জিহাদের চক্ষু প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করাতে বাবা বাচ্চু মিয়া ও তার পরিবার এমপি মুকুলে প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের পক্ষে কখনও ছেলেটিকে পৃথিবীর আলো দেখানো সম্ভব হতো না। আজ এমপি সাহেবের সহায়তায় আল্লাহ আমার ছেলেকে এই সুন্দর পৃথিবীর আলো দেখাবে। এটা আমদের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।
এমপি আলী আজম মুকুল আগেও ভোলার দৌলতখান ও বোরহানউদ্দিন উপজেলার অনেক দরিদ্র মানুষকে সম্পূর্ণ নিজ খরচে চিকিৎসা করিয়েছেন।