পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সেলিম মাতবর এর ব্যক্তিগত চেম্বারে ভুল চিকিৎসায় আলী বাবর নামে এক শিশুর বাম হাত বাঁকা হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর পিতা সিকদার নোমান চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার সকালে বিচারের দাবীতে পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিশুর পিতা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘গত ১৭ জানুয়ারী আমার ছেলে পাঁ পিছলে পরে গিয়ে তার বাম হাত ভেঙ্গে যায়। তাই চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে বলা হয় এই চিকিৎসা এখানে হবে না, আপনারা ডাক্তার সেলিম মাতবর এর ব্যক্তিগত চেম্বারে নিয়ে যান। আমি দ্রুত সেখানে নিয়ে গেলে ডাক্তার সেলিম মাতবর অপারেশন করতে বলেন। অপারেশনের জন্য আমার কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবী করেন ষেলিম মাতবর। আমি তাৎক্ষনিক নগদ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করি এবং ২৪ জানুয়ারী হাতের প্লাস্টার খোলার দিন বাকী ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু ৩০ জানুয়ারী ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেলে তিনি পুনরায় এক্সরে করে এবং আরও কিছু ঔষধ পত্র দিয়ে দেন। পরে বাড়ি ফিরে আমার সন্তান ব্যথায় ডাক চিৎকার করতে থাকে। আমি দুই ফেব্রুয়ারী ঢাকার জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল ও পূর্নবাসন কেন্দ্রের ডাঃ তানভীর মাহমুদ এর দশমিনা চেম্বারে দেখালে তিনি রিপোর্ট দেখে দ্রুত আমার ছেলেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের অর্থোপেডিকস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ডাঃ এ এফ এম রুহাল হক কে দেখাতে বলেন। আমি গত ৪ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় তাকে দেখালে তিনি সকল চিকিৎসাপত্র দেখে বলেন, ডাঃ সেলিম মাতবর এর চিকিসা ব্যবস্থা সঠিক ছিল না। এমন অবস্থায় আমার সন্তানের বাম হাতটি পঙ্গু হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ সেলিম মাতবর বলেন, আমি যতটুক বই পত্র পড়েছি তাতে আমি কোন ভুল চিকিৎসা করিনি। আমি সুনেছি মামলা হয়েছে। মামলার কাগজপত্র পেলে আদালতে আমি আমার বক্তব্য উপস্থাপন করবো।