সিলেটের জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৩ শিক্ষার্থী নেপালে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের যাত্রী ছিলেন। তারা সকলেই নেপালী বংশোদ্ভূত।
এই বিমানে যাত্রী ছিলেন রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী- সঞ্জয় পৌডেল, সঞ্জয়া মহারজন, নেগা মহারজন, অঞ্জলি শ্রেষ্ঠ, পূর্নিমা লোহানি, শ্রেতা থাপা, মিলি মহারজন, শর্মা শ্রেষ্ঠ, আলজিরা বারাল, চুরু বারাল, শামিরা বেনজারখার, আশ্রা শখিয়া ও প্রিঞ্চি ধনি। সূূূত জানায় ১৯তম ব্যাচের এই শিক্ষার্থীরা ফাইনাল প্রুফ দিয়ে ছুটিতে নিজেদের দেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া রাবেয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. আবেদ হোসেন বলেন, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী ছিলো বলে শুনেছি। তবে কতজন ছিলো তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
তিনি বলেন, চুড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা শেষে ফলাফল প্রকাশের জন্য দুই মাসের মতো সময় লাগে। এই সময়ে সকলেই নিজেদের বাড়িতে চলে যায়।
মেডিকেল কলেজের একটি সূত্রে জানা গেছে, এদের মধ্যে একজন নিহত ও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পেয়েছেন তারা। বাকীদের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এই মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মৈত্রেয়ী দেব বলেন, একজন শিক্ষার্থী মারা গেছেন বলে শুনেছি। তবে এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।
নেপালে সংঘঠিত ইউএস বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজের নেপালী ছাত্র-ছাত্রীসহ বিমান যাত্রী যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং তাদের শোক সস্তুপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে শোক প্রকাশ করেন জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ রাগীব আলী। সেই সাথে আহত যাত্রীদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন তিনি। সোমবার রাতে এক প্রেস বার্তায় তিনি এ শোক প্রকাশ করেন।
এদিকে নেপালী ১১ ছাত্রী ও ২ ছাত্র বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ক্যম্পাসে শোকের ছায়া নেমে আসে। সহপাঠীরা অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শিক্ষকরাও ছিলেন বিমর্ষ।