নেইমারদের ভাবনা কী, পেছনে আছে দুর্ভেদ্য দেয়াল!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

ব্রাজিলের রক্ষণ ভেঙে মাত্র একবারই বল জালে ঢুকেছে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে। এ ছাড়া বাকি তিন ম্যাচে জমাট ছিল ফাগনার-সিলভা-মিরান্দাদের রক্ষণভাগ

নেইমারের উপহার দেওয়া জাদুকরি মুহূর্তগুলো সবার চোখের সামনে ভাসবে। কথা হবে উইলিয়ানের গতি আর ফিলিপে কুতিনহোর স্কিল নিয়ে। কিন্তু আড়ালে থেকে যাওয়াই যেন নিয়তি সিলভা-ফাগনারদের! ব্রাজিল দলের রক্ষণের কথা কে কবে মনে রেখেছে!

তবে এই বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গল্পটা বোধ হয় একটু আলাদা। নেইমার-কুতিনহোদের পাশাপাশি কিছু আলো এসে পড়ছে মিরান্দা-লুইসদের ওপরও। এ রকম একটা আলোচনাও শুরু হয়ে গেছে, ব্রাজিল এবার বিশ্বকাপ জিতলে জমাট রক্ষণের কারণেই জিতবে।

থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে ফাগনার-লুইস-মিরান্দারা সত্যি দুর্ভেদ্য এক দেয়াল গড়ে তুলেছেন প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য। ব্রাজিলের জমাট রক্ষণ ভেঙে মাত্র একবারই বল জালে ঢুকেছে, সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে। রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ব্রাজিল আর উরুগুয়েই গোল খেয়েছে সবচেয়ে কম (একটি করে)।

তা জমাট রক্ষণের প্রেরণা ব্রাজিল পেল কোথা থেকে? রক্ষণের চিরায়ত মায়েস্ত্রো ইতালিয়ানরা এবারের বিশ্বকাপে নেই, কিন্তু ব্রাজিলের প্রেরণা তারাই। আরও নির্দিষ্ট করে জুভেন্টাসের রক্ষণ থেকেই প্রেরণা খুঁজে নিয়েছেন সিলভা-মিরান্দারা। ব্রাজিলের সহকারী কোচ সিলভিনেহা তো বলেছেনও, ‘ইতালিতে সর্বশেষ সাতবারের চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস। এই সাতবারের মধ্যে মাত্র একবারই ওদের রক্ষণ সেরা ছিল না।’

যেকোনো বিশ্বকাপেই গোলদাতারা থাকেন আলোচনায়। কিন্তু বিশ্বকাপ জেতে সেই দলগুলো, যাদের রক্ষণ সেরা। ২০১৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির কথাই ধরুন। সাত ম্যাচে তারা গোল খেয়েছে চারটি। ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেন এবং ২০০৬ বিশ্বকাপে ইতালি চ্যাম্পিয়নই হয়েছে তাদের রক্ষণদৃঢ়তায়। গোল খেয়েছে মাত্র দুটি করে।

১৯৮২ আর ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সে কী আক্রমণভাগ! জিকো-সক্রেটিসরা সাম্বার ছন্দে মাতিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপ। কিন্তু শিরোপা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারল কই ব্রাজিল! আবার ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপের দিকে তাকান। ব্রাজিলের আক্রমণেও প্রতিভা তখনো ছিল। কিন্তু নিজেদের ইতিহাসে চতুর্থ ও পঞ্চম শিরোপা জেতায় বড় ভূমিকা ছিল ইস্পাতকঠিন রক্ষণের। ২০০২ বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে শুধু ইংল্যান্ড গোল করতে পেরেছিল ব্রাজিলের বিপক্ষে।

তিতের ব্রাজিলের রক্ষণভাগ যথেষ্ট ধারাবাহিক। সর্বশেষ ২৯ ম্যাচে ব্রাজিল রক্ষণ গোল খেয়েছে মাত্র আটটি। এই বিশ্বকাপেও আর খেতে চায় না তিতের রক্ষণভাগ। সে জন্য চার ডিফেন্ডার ও একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের পাশাপাশি বাকিদেরও ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করেন সিলভা, ‘আর কোনো গোল না খাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। আমরা একটি বিষয়ে খুব জোর দিচ্ছি—রক্ষণের কাজটা আক্রমণভাগ থেকেই শুরু করতে। আমাদের অর্ধে বল এলে তখন বিপদমুক্ত করা সহজ হয়ে যায়।’

শেষ ষোলোর প্রথমার্ধে ব্রাজিলের রক্ষণের বেশ পরীক্ষা নিয়েছে মেক্সিকো। দ্বিতীয়ার্ধে তিতে দলকে মাঠে নামালেন ছক বদলে দিয়ে, ৪-৪-২। এরপর আর মেক্সিকো খুব বেশি গোলের পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারল না। চোটের কারণে বিশ্বকাপের আগেই রাইটব্যাক দানি আলভেজ ছিটকে পড়েছেন। ফাগনার দায়িত্বটা সামলাতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকের মনেই শঙ্কা ছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তিনি হিরভিং লোজানোকে অসাধারণ একটি ট্যাকল করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৈরি হয়েই বিশ্বকাপে এসেছেন। যোগ করা সময়েও লোজানো একবার বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েছিলেন। মুহূর্তের মধ্যেই তাঁকে ঘিরে ধরেছেন ব্রাজিলের চার ডিফেন্ডার।

জমাট রক্ষণের ফাঁক গলে বল খুব একটা ব্রাজিলের পোস্টের দিকে যেতে দেখা যায়নি। যে কয়বার গেছে, পোস্টের নিচে থাকা আলিসন বেকার সামলেছেন দক্ষ হাতে। যাঁকে এরই মধ্যে ‘গোলরক্ষকদের পেলে’ আখ্যা দিয়েছেন ১৯৯৪ বিশ্বকাপজয়ী ব্রাজিল গোলরক্ষক ক্লদিও তাফারেল। দুর্দান্ত এই রক্ষণ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখতেই পারে ব্রাজিল।

প্রচ্ছদবরিশাল এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমেই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন।তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদানের জন্য বৃহৎ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এজন্য চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। স্বাস্থ্য খাতে কোনো প্রকার অনিয়ম দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। এ লক্ষ্যে কমিটির সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।শনিবার পিরোজপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন।সভায় পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, পিরোজপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ফারুক আলম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক, ইউএনও সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর সিকদার, ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।এর আগে মন্ত্রী স্বরূপকাঠি পৌর গোরস্থান ও শ্মশান ঘাটের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে যোগ দেন।সেখানে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোন কাজ না করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।পরে মন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসের র‌্যালিতে অংশ গ্রহণ করেন। সব শেষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘দলে থাকবেন আর দলের সিদ্ধান্ত বিরোধী কাজ করবেন, তা হবে না। অনুপ্রবেশকারীকে দলে স্থান দেওয়া হবে না। শেখ হাসিনা রাত-দিন পরিশ্রম করে দেশের উন্নয়ন করে চলছেন। এ ধারা অব্যহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।’
৬ years ago