বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিনার মনে করা হয় তাকে। বলা হয় রহস্যময় স্পিনার। যে কোনো মুহূর্তে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ওস্তাদ আফগান স্পিনার মুজিব-উর রহমান। কখনো কখনো তাকে রশিদ খানের চেয়েও কার্যকর স্পিনার মনে করা হয়।
কিন্তু সেই অফ-স্পিনার মুজিব-উর রহমানকেই কিনলো না আইপিএলের কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। ২ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্য ছিল তার। জাতীয় দলের হয়ে খেলা ভারতীয় এবং বিদেশি স্পিনারদের সেটের নিলাম শুরু হওয়ার পর দেখা গেলো বিস্ময়কর অবস্থা।
স্পিনারদের প্রতি যেন কোনো আগ্রহই নেই আইপিএল ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর। ইংল্যান্ডের লেগ স্পিনার আদিল রশিদের নাম উঠেছিল আগে। ভিত্তিমূল্য তার ২ কোটি রুপি। কেউ কিনলো না তাকে।
এরপর নাম উঠলো মুজিব-উর রহমানের। সবাই ধরে নিয়েছিল নিলামে তাকে নিয়ে টানাটানি পড়বে। টানাটানি তো দুরে থাক, তাকে কেনার জন্য ১০ ফ্রাঞ্চাইজির কেউই প্যাডল তুললো না। অবিক্রিতই থেকে গেলেন তিনি।
শুধু তাই নয়, দক্ষিণ আফ্রিকান লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরকেও কেনার আগ্রহ দেখায়নি কোনো ফ্রাঞ্চাইজি। তারও ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। অস্ট্রেলিয়ান লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পাও থেকে গেলেন অবিক্রীত। তারও ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি।
তবে তিন ভারতীয় স্পিনার ঠিকই বিক্রি হলেন। ১ কোটি রুপি ভিত্তিমূল্যের কুলদ্বীপ যাদব ২ কোটি রুপিতে বিক্রি হলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে। এছাড়া ৭৫ লাখ রুপি ভিত্তিমূল্যের রাহুল চাহারকে নিয়ে টানাটানি চলে হায়দরাবাদ, দিল্লি, রাজস্থান রয়্যালস এবং পাঞ্জাবের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ৫.২৫ কোটি রুপিতে তাকে কিনে নেয় পাঞ্জাব কিংস।
এরপর ভারতীয় স্পিনার ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের নাম উঠলে তাকে নিয়েও টানাটানি হয়। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ২ কোটি রুপি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে নেমে আসে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুও। অবশেষে ৬.৫ কোটি রুপিতে তাকে কিনে নেয় ব্যাঙ্গালুরু।
ভারতের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে অন্যতম সফল স্পিনার অমিত মিশ্রও থেকে গেলেন অবিক্রীত। দেড় কোটি রুপি ছিল তার ভিত্তিমূল্য। কিন্তু কেউ তাকে কেনেনি।