সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে পেশিশক্তি ও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা। বিএফডিসি’তে আজ শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করা নিয়ে এই ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় সময় ব্যক্তিগত ফোনালাপ গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এটি একটি অনৈতিক চর্চা। যার কারণে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। একই সঙ্গে নির্বাচনকেন্দ্রিক ভুল তথ্য পরিবেশন থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানান।
যাঁরা নির্বাচনকে আন্দোলনের ইস্যু হিসেবে আনার সমালোচনা করছেন তাদের উদ্দেশ্যে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকে আন্দোলনের ইস্যু হিসেবে দেখা অযৌক্তিক কিছু নয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এই চর্চা লক্ষ্য করা যায়। নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতার কথা উল্লেখ করে তিনি বিশেষ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিষয়টি তুলে ধরেন। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার, নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
হঠাৎ করে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইভিএম কেনার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীসহ কেউই কিছু জানে না। ইভিএম ক্রয় প্রক্রিয়া কীভাবে করা হয়েছে—এ সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনের জনগণকে অবহিত করা উচিত।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য দেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে নির্বাচনে সবচেয়ে বড় সমস্যা, উইনার টেকস অল। যারা নির্বাচনে জেতে, তারা ব্যবসা-বাণিজ্য, জমিজমা—সবই নিয়ে নিতে চায়। আর পরাজিতদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়। ফলে নির্বাচনে কেউই হারতে চায় না।’
প্রতিযোগিতায় বিজেএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিকে পরাজিত করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়। এতে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, সাংবাদিক সালেহউদ্দিন, আইরিন বাশার রিফাত, এসএম মোর্শেদ ও সাংবাদিক জাহিদ রহমান।