‘প্রিয় নাবিলা, আশা করি ভালো আছো খুব। ফেসবুকে তোমার ছবিগুলো দেখতে বেশ লাগে। বাংলাদেশে যে ক’টা দিন তুমি ছিলে পাশে দারুণ কেটেছিলো। তোমার জন্য একটা শাড়ি পাঠালাম এবং তার সঙ্গে আমন্ত্রণ জানাই, এই পূজোতে আমার শহর কলকাতায় আসার। আমরা একসঙ্গে আবার কিছুটা সময় কাটাতে পারবো আনন্দ করে। ইতি অনুপম।’
ভালোবাসা আর আবেগমাখা যোগাযোগের মাধ্যম চিঠি আজকাল আর নেই বললেই চলে। ফেসবুক-টুইটারের যুগে আবেদন হারিয়েছে ঐতিহ্যের চিঠি। তবে হুট করেই উপরের বক্তব্য নিয়ে একটি চিঠি হাতে এসেছে ‘আয়নাবাজি’খ্যাত নায়িকা নাবিলার। চিঠির প্রেরক অনুপম হলেন কলকাতার জনপ্রিয় গায়ক অনুপম রায়।
চিঠির উত্তর অবশ্য জানা যায়নি। অনুপমের আমন্ত্রণ রক্ষায় আসছে দুর্গাপূজায় নাবিলা কলকাতায় যাচ্ছেন কী না সেটাও জানা যায়নি। তবে কেন হঠাৎ নাবিলাকে চিঠি লিখলেন সেটি জানা গেল ‘বাংলাদেশের মেয়ে’ শিরোনামে অনুপম রায়ের নতুন গানের ভিডিও প্রকাশ হবার পর।
প্রাণ ডাল নিবেদিত এই মিউজিক ভিডিওটি ইউটিউবে প্রকাশ হয়েছে গেল রোববার, ৪ মার্চ। ভিডিওতে দেখা গেছে দুই বাংলার মানুষের সম্পর্কের টানের গল্পই। একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে দুই পাড়ের দুজন জনপ্রিয় মানুষের সাক্ষাত, মুগ্ধতা ও ভালোবাসার আভাসই ফুটে উঠেছে।
ভিডিওটির গল্পে অনুপম রায় হাজির হয়েছেই স্ব-নামেই। নাবিলাও তাই। অনুপমের পুরনো আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে ঢাকায় আসেন অনুপম। একই বিয়েতে বান্ধবীর অনুরোধে হাজির হন নায়িকা নাবিলাও। অতঃপর বিয়ে ছাপিয়ে দুই তারকার দেখা, মুগ্ধতার প্রকাশ। বিয়ে শেষে আনন্দ ফুরায়, বিদায় নেন অনুপম-নাবিলাও। তবে একে অপরের প্রতি মুগ্ধতা যে কাটাতে পারেননি সেটা বোঝা গেল নাবিলার আনমনা-উদাসী ভাবনা আর হুট করেই অনুপমের চিঠি লেখা।
ভিডিওটি শেষ হতে হতে মনে হয়, সামনে হয়তো এই দুই তারকার ভক্তদের জন্য অপেক্ষা করছে ভিডিওটির দ্বিতীয় কিস্তি। যেখানে নাবিলা-অনুপমের দেখা মিলবে শহর কলকাতায়, দুর্গা পূজার রঙিন কোনো উৎসবে। তবে এই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেননি নাবিলা। তিনি বলেন, ‘গানটি করা হয়েছে ভিন্ন ভাবনা নিয়ে। চমৎকার আয়োজন ছিল। এর কোনো পর্ব হবে কী না আর হলেও সেখানে আমি থাকব কী না সেটা নিশ্চিত নই।’
‘বাংলাদেশের মেয়ে’ দিয়ে প্রথমবারের মতো অনুপম রায় গান বাঁধলেন বাংলাদেশের জন্য। নিজের কথা-সুর-সংগীতে তৈরি এই গানটির ভিডিও নির্মাণ করেছেন শাহিরয়ার পলক। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ই-টিউনস এন্টারটেইনমেন্ট।