পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রামে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার হন এক ব্যক্তি। মেয়েটির এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। যদিও পরে ওই ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
অভিভাবকদের ডেকে সচেতন করা, ১৮ না হলে মেয়ের বিয়ে দেবেন না এই মর্মে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যজুড়ে থামছে না বাল্য বিয়ের ঘটনা।
ঝাড়গ্রামের ১৭ বছরের ওই মেয়েটি দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়তো। তবে উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম পূরণ করেনি সে। ফলে, অ্যাডমিট কার্ডও আসেনি। গত ৩ মার্চ বাড়িতেই অনুষ্ঠান করে তার বিয়ে দিয়ে দেন স্বজনরা। বিয়ের পরে খবর পান বিডিও। ১২ মার্চ বিডিও ওই মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
‘প্রোহিবিশন অব চাইল্ড ম্যারেজ অ্যাক্ট, ২০০৬’-এর ধারায় মামলা নেয় পুলিশ। ওই নাবালিকার বাবাকে নোটিস পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি থানায় যাননি। তার পরে বাড়ি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ওই নাবালিকার বাবার বক্তব্য, ‘আমার তিন মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে বড় হলে বিয়ে দেওয়ার চাপ থাকে। ভাল পাত্র পাওয়ায় বিয়ে দিয়েছিলাম। এ রকম তো অনেকেই বিয়ে দেন। অথচ আমাকে গ্রেফতার করা হলো।’’
জেলা প্রশাসক জয়সি দাশগুপ্ত বলেছেন, ‘ বাল্য বিয়ে দেওয়া অপরাধ। তাতে ইন্ধন জোগানোও অন্যায়। আর অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে।’
সূত্র: আনন্দবাজার