 
                                            
                                                                                            
                                        
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সৈয়দা আরজুমান নার্গিস দম্পতির একমাত্র ছেলে সায়েম-উর-রহমান সায়েমের নবম মৃত্যুবার্ষিকী রোববার (৬ সেপ্টেম্বর)। ২০১১ সালের এইদিন রাতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডুলাহাজারা সাফারি পার্কের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান সায়েম।
তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডিতে নানকের বাসভবনে পারিবারিকভাবে বাদ আসর কোরআন খতম ও বাদ মাগরিব দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বনানী কবরস্থান মসজিদে বাদ আসর মিলাদ, দোয়া ও তবারক বিতরণ এবং মোহাম্মদপুর, আদাবর ও শেরেবাংলা নগরের বিভিন্ন মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (বরিশাল) উদ্যোগে বাদ জোহর ভার্চুয়াল আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
করোনাকালে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করে মরহুমের শুভাকাঙ্ক্ষীদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে সায়েমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় অংশ নিতে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সৈয়দা আরজুমান নার্গিস।
বিয়ের মাত্র দু’বছরের মাথায় স্বামীকে হারান সায়েমের স্ত্রী আনিকা রহমান, বাবাকে হারায় সাত মাস বয়সী মেয়ে মেহরিশ রহমান। স্বামী হারানোর শোক-ব্যথার স্মৃতি আঁকড়ে জীবন সংগ্রামে শ্বশুর-শাশুড়ির আদর, স্নেহ ও ভালোবাসার পরশ নিয়ে জীবনের পথ বেয়ে চলছেন আনিকা।
প্রতিবার ছেলের মৃত্যুর সময়টার আগে-পরে শোকব্যথায় চাপাকান্নায় চোখ বুজে স্মৃতি হাতড়ান নানক দম্পতি। একমাত্র পুত্রসন্তান হারানোর স্মৃতিময় বেদনার কথা স্মরণ করে নানক বলেন,আমি এক বুক জ্বালা-কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি।
পুত্রের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সবার কাছে দোয়া কামনা করেন নানক দম্পতি।