বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের শ্রমিকদের জন্য নির্মানাধীন একতলা ভবনের একটি অংশের ভিম ভেঙ্গে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, (চহুৎপুর মৌজা, জে.এল নং ৩১) নির্মানাধীন ওই ভবনের পারদর্শী নির্মাণ শ্রমিক ও প্রকৌশলী কোনটাই নেই। সব দায়িত্ব পালন করছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন বাসের হেলপার ও দোকানিরা। আর তাদের অনুমান অনুযায়ী সব কাঁচামাল দিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্রমিকদের কল্যাণের নামে এ ভবন। কর্মরত এসব বাস শ্রমিকদের মোটরযান সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা থাকলেও দালান নির্মাণের বিষয়ে কতটুকু অভিজ্ঞতা আছে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রয়েছে এলাকাবাসীর মাঝে। গত প্রায় একমাস পূর্ব থেকে নির্মাণাধীন ভবনটির একাশের একটি ভিম ভেঙ্গে পড়ায় ভবিষ্যতে কি ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে আতংক। ভবনের ঠিকাদার কে খুঁজতে গিয়ে নাম পাওয়া গেছে স্থানীয় খালপাড়ের চহুৎপুরের বাসিন্দা খালেদের নাম।
জানা গেছে, দালানের কোন অবকাঠামোগত প্লান অনুমোদন নেওয়া হয়নি বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে। দালানের রড, সিমেন্ট, ইট, বালু সবই অত্যন্ত নিম্ন মানের। তাই কাজ শেষ হওয়ার আগেই এ ভঙ্গুর অবস্থা হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় জনসাধারন। এলাকাবাসীর ধারণা, দক্ষ কারিগরবিহীন হঠাৎ করে গড়ে ওঠা এ ভবনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আশপাশের দোকানপাট। নিয়ম অনুযায়ী নেই ফায়ার সার্ভিসের অনুমোদনও ।
স্থানীয় চায়ের দোকানি বাদশা বলেন, এখানে ময়লার পাহার ছিল। তার আগে পুকুর সাদৃশ্য এক যায়গা। অথচ রাতারাতি বালি ভরে শুরু হয়েছে স্টলের জন্য ভবন নির্মাণ কাজ। এর আগেও ফাটল ধরেছিল। আবার এখন ভিম ভেঙ্গেছে। বিষয়টি বিসিসির জানা থাকলেও অজানা কারনে পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
ভবনের বৈধতা সম্পর্কে কাশীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী হোসেন বিসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেও কর্তৃপক্ষ কোন বিষয়টি নজরে না আনায় নির্মাণ কাজ চলছেই।
বিসিসির কর্তব্যরত সড়ক পরিদর্শক বলেছেন, জমি নিয়ে আইনি জটিলতার কারনে প্লান পাস হয়নি। তবে অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধের দেয়া হয়েছিল।
দালানের আংশিক ভাঙ্গনের কথা অস্বীকার করে মহানগর আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও নথুল্লাবাদ পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আপনারা ভুল দেখেছেন হয়তো। ভবনের প্লান পাস রয়েছে।