জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা হওয়ার কথা ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। শনিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় এই সভা হওয়ার কথা থাকলে তা বাতিল করা হয়।
সন্ধ্যার কিছু আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, ‘আজকে সন্ধ্যা ৬টার সভা অনিবার্য কারণে হবে না। যখন বা যেদিন সভা হবে যথা সময়ে জানিয়ে দেবো।’
এই সভায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব আনিছুর রহমান, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রতিনিধি, পরিবহন মালিক নেতারাসহ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
এর আগে দুপুরে ধানমন্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ট্রাক শ্রমিক-মালিক ফেডারেশন নেতারা। তারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের জানান, ডিজেলের বাড়ানো দাম প্রত্যাহার বা পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
এই বৈঠকের বিষয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘দুপুরে দু-একজন নেতা মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করে গেছেন। তবে এটা কোনো বৈঠক নয়।’
এর আগে ৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবনে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।
ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রাখেন মালিকরা। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন সরকারের কাছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না আসায় শনিবার বিকেল থেকে লঞ্চ বন্ধ করে দেন মালিকরা।