বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দেশের ৮৩৫টি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ইউপিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এই ধাপে ২৬টি ইউপিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
সংবাদদাতা, প্রতিনিধি ও নিজস্ব প্রতিবেদকদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
মাগুরা
মাগুরা সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনে ৭টিতে আওয়ামী লীগ, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে অপর ৩টি ইউনিয়নে আগেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কেন্দ্র ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নানের দেওয়া তথ্য মতে, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ১০টি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিজয়ী চেয়ারম্যানরা হচ্ছেন রাঘবদাইড় ইউনিয়নে আশরাফুল আলম বাবুল ফকির, মঘি ইউনিয়নে হাচনা হেনা, জগদল ইউনিয়নে সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, গোপালগ্রাম ইউনিয়নে অধ্যক্ষ নাসিরুল ইসলাম মিলন, চাউলিয়া ইউনিয়নে হাফিজার রহমান, কছুন্দি ইউনিয়নে আবুল কাশেম মোল্যা, আঠারোখাদা ইউনিয়নে সঞ্জীবন বিশ্বাস।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন বেরইল পলিতা ইউনিয়নে এনামুল হক রাজা ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নে জাহিদুর রহমান টিপু। শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নে বিজয়ী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুফতি মওলানা ওসমান গণি।
প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় অপর তিন ইউনিয়নে হাজরাপুরে কবির হোসেন, হাজিপুর ইউনিয়নে মোজাহারুল ইসলাম ও বগিয়া ইউপিতে মীর রওনোক হোসেন আগেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত তিন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন।
রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ও ছোট ভাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা।
উজানচর ইউনিয়নে আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলজার হোসেন এবং ছোট ভাকলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আ.লীগ সমর্থিত প্রার্থী আমজাদ হোসেন জয় লাভ করেছেন।
এদিন দিনভর ভোট গ্রহণ শেষে রাত ৯টায় উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা নির্বাচন অফিসার নিজামউদ্দিন আহমেদ বেসরকারিভাবে তাদের জয়ী ঘোষণা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনে উজানচর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গোলজার হোসেন মৃধা পেয়েছেন ৯ হাজার ৯শত ৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ফকির আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫ শ’ ৩১ ভোট এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলদার আলী ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩ শ’ ৬৮ ভোট। মোট ৬ হাজার ৪ শ’ ১২ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন গোলজার হোসেন মৃধা।
অপরদিকে ছোট-ভাকলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন পেয়েছেন ৬ হাজার ৪ শ’ ৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪ শ’ ৫৩ ভোট। মোট ২ হাজার ৪১ ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন আমজাদ হোসেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার নিজামউদ্দিন আহমেদ বেসরকারিভাবে গোলজার হোসেন মৃধা ও আমজাদ হোসেন কে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন।
এই দুটি ইউনিয়নের মোট ভোটার ৩৭ হাজার ৩ শ’ ৬০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৯ হাজার ২ শ’ ৫০ জন। নারী ভোটার ১৮ হাজার ১ শ’ ২০ জন।
উল্লেখ্য, এ দুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য পদে ৫৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য পদে ২১ জনসহ মোট ৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা
খুলনার চার উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নাম ঘোষণা করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নগুলোর নির্বাচন কর্মকর্তারা। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকের ১০ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ১০ জন এবং ৫টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন।
ডুমুরিয়ার উপজেলা সদরে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী চশমা প্রতীকের গাজী হুমায়ূন কবির বুলু, মাগুরখালি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের বিমল কৃষ্ণ সানা, শোভনা ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের সুরঞ্জিত বৈদ্য, শরাফপুর ইউনিয়নে চশমা প্রতীকের রবিউল ইসলাম রবি, আটলিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের হেলাল উদ্দিন, গুটুদিয়া ইউনিয়নে ঢোল প্রতীকের তুহিন, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের গোপাল দে, মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের রফিকুল ইসলাম হেলাল, রংপুর ইউনিয়নে ঘোড়া প্রতীকের সমরেশ মণ্ডল, রুদাঘরা ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের গাজি তৌহিদ, আটলিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের হেলাল উদ্দীন, ধামালিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের জহুরুল হক, রঘুনাথপুর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের মনোজিত বালা, সাহস ইউনিয়নে স্বতন্ত্র আনারস প্রতীকের মাহাবুবুর রহমান মোল্লা ও খর্ণিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ দিদারুল হোসেন দিদার নির্বাচিত হয়েছেন।
ফুলতলা উপজেলার আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের শেখ মনিরুল ইসলাম, দামোদার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের শরিফ মো. ভূঁইয়া শিপলু, জামিরা ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের মনিরুল ইসলাম সরদার ও ফুলতলা সদর ইউনিয়নে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বাসার নির্বাচিত হয়েছেন।
রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নে ইতোপূর্বে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মো. কামাল হোসেন বুলবুল নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া আইচগাতী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আশরাফুজ্জামান বাবুল, শ্রীফলতলা ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের আলহাজ মো. ইসহাক সরদার ও টিএববি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের কামাল হোসেন বুলবুল।
বটিয়াঘাটা উপজেলা সুরখালী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের এস কে জাকির হোসেন লিটু, ভান্ডাকোট ইউনিয়নে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের মো. ওবায়দুল্লাহ শেখ ও সদর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের পল্লব কুমার বিশ্বাস রুটু নির্বাচিত হয়েছেন।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৬ জন, আওয়ামী লীগ ৩ জন, বিএনপি ২ জন, জাতীয় পার্টি একজন ও জামায়াতের একজন চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
স্বতন্ত্র ১০ জন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৬ জন, বিএনপির ২ জন, জাতীয় পার্টির একজন ও জামায়াতে ইসলামীর একজন।
বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- ধুলিহর ইউনিয়নের মিজানুর রহমান চৌধুরী (বিদ্রোহী), ফিংড়ি ইউনিয়নের মো. লুৎফর রহমান (বিদ্রোহী), ভোমরা ইউনিয়নে ইসরাঈল গাজী (স্বতন্ত্র জাতীয় পার্টি), বৈকারী ইউনিয়নের আবু মো. মোস্তফা কামাল (বিদ্রোহী), লাবসা ইউনিয়নের আব্দুল আলিম (স্বতন্ত্র বিএনপি), কুশখালী ইউনিয়নের মাওলানা আব্দুল গফফার (স্বতন্ত্র জামাত), আগরদাড়ি ইউনিয়নে কবির হোসেন মিলন (বিদ্রোহী), বাঁশদহা ইউনিয়নের মাস্টার মফিজুল ইসলাম (নৌকা), শিবপুর ইউনিয়নে এস.এম আবুল কালাম (বিদ্রোহী), ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে আজমল হোসেন (নৌকা), ব্রক্ষ্মরাজপুর মো. আলাউদ্দীন (নৌকা), ঘোনা ইউনিয়নে আব্দুল কাদের (বিদ্রোহী), বল্লী ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট মহিতুল ইসলাম (স্বতন্ত্র বিএনপি)।
সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. নাজমুল কবীর জানান, ১৩টি ইউনিয়নে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১২৬টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা ৭১৯টি এবং অস্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ৫৫টি। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৩৪ হাজার ২২৪ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৩২ হাজার ৪২৯ জন। সদর উপজেলায় ১৩ ইউনিয়নে মোট ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নেত্রকোনা
দ্বিতীয় ধাপে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নেত্রকোনার আটপাড়া, সদর ও বারহাট্টা এই তিন উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে সদর উপজেলার লক্ষীগঞ্জ ইউপির আতকাপাড়া ও বায়রাউড়া কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলাকালে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারার অভিযোগে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করায় ওই ইউপির ফলাফল স্থগিত এবং সদর উপজেলায় মদনপুর ইউপিতে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।
স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে বেসরকারিভাবে নির্বাচিতরা হলেন- সদর উপজেলায় কালিয়ারা গাবরাগাতি ইউপিতে মো. আমজাদ হোসেন খান (নৌকা), মেদনীতে স্বতন্ত্র আলহাজ মিজানুর রহমান (ঘোড়া), ঠাকুরাকোনা মো. আব্দুর রাজ্জাক (নৌকা), সিংহের বাংলায় স্বতন্ত্র মো. আলী আহসান (ঘোড়া), আমতলায় মো. রউফ সবুজ (নৌকা), মৌগাতিতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান (নৌকা), রৌহা মো. আব্দুর রশিদ (নৌকা), চল্লিশায় সৈয়দ মাহবুবউল মজিদ (নৌকা), দক্ষিণ বিশিউড়ায় স্বতন্ত্র মো. সেলিম আজাদ সেলিম (ঘোড়া) ও কাইলাটী ইউপিতে স্বতন্ত্র মো. নাজমুল হক (ঘোড়া)।
আটপাড়া উপজেলায় সাত ইউপির সবগুলোতে নৌকার প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। স্বরমুশিয়া ইউপিতে মো. আব্দুস সাত্তার, লুনেশ্বরে মো. শাহজাহান কবীর, বানিয়াজানে মো. ফেরদৌস মিয়া, তেলিগাতীতে অখিল চন্দ্র দাস, দুওজ ইউপিতে সাইদুল হক তালুকদার, সুখারীতে মো. শাহজাহান ও শুনই ইউপিতে মো. রোকন উজ্জামান।
বারহাট্টা উপজেলার সাহতা ইউপিতে স্বতন্ত্র মো. মিজানুর রহমান (ঘোড়া), বারহাট্টা সদরে কাজী সাখাওয়াত হোসেন (নৌকা), বাউসিতে মো. শামছুল হক (নৌকা), আসমা ইউপিতে মো. শফিকুল ইসলাম খান (নৌকা), চিরামে মো. সাইদুর রহমান চৌধুরী (নৌকা), সিংধা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. নাসিম উদ্দিন তালুকদার (টেবিল ফ্যান) ও রায়পুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রাথী আতিকুর রহমান রাজু (ঘোড়া)।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার মোট ১৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ জন, জাসদ একটিতে এবং স্বতন্ত্র ৭ জন বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাগণ বেসরকারিভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ভেড়ামারার উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে বাহাদুরপুর ইউনিয়নে সোহেল রানা পবন, বাহিরচর ইউনিয়নে রওশন আরা, মোকারিমপুর ইউনিয়নে আব্দুস সামাদ নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। চাঁদগ্রাম ইউনিয়নে আব্দুল হাফিজ তপন জাসদ সমর্থিত মশাল প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। জুনিয়াদহ ইউনিয়নে হাসানুজ্জামান হাসান এবং ধরমপুর ইউনিয়নে শামসুল হক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।
এদিকে মিরপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের মধ্যে বহলবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে শহিদুল ইসলাম সাইদুল, বারুইপাড়া ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম মন্টু, আমলা ইউনিয়নে একলিমুর রেজা সাবান জোয়ার্দ্দার, কুর্শা ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান, মালিহাদ ইউনিয়নে আকরাম হোসেন, আমবাড়িয়া ইউনিয়নে সাইফুদ্দিন মুকুল নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তালবাড়িয়া ইউনিয়নে আব্দুল হান্নান, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নে নুরুল ইসলাম, ছাতিয়ান ইউনিয়নে কবীর হোসেন বিশ্বাস, সদরপুর ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন।
এ ছাড়াও পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফারুকুজ্জামান জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নরসিংদী
দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার ১০টি ও সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন- সদর উপজেলার চরদীঘলদী ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন শাহীন (আ.লীগ), আলোকবালী ইউনিয়নে দেলোয়ার হোসেন সরকার দিপু (আ.লীগ), রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ীতে রাতুল হাসান জাকির (স্বতন্ত্র), শ্রীনগরে রিয়াজ মোরশেদ খাঁন রাসেল (আ.লীগ), পাড়াতলীতে ফেরদৌস কামাল জুয়েল (আ.লীগ), চরমধুয়ায় আহসান শিকদার (স্বতন্ত্র), মির্জানগরে বশির উদ্দিন সরকার রিপন (স্বতন্ত্র), আমিরগঞ্জে ফজলুল করিম ফারুক মোল্লা (স্বতন্ত্র), হাইরমারায় কবির হোসেন (আ.লীগ), মির্জারচরে জাফর ইকবাল মানিক (স্বতন্ত্র), নিলক্ষায় অ্যাড. আক্তারুজ্জামান শামীম (স্বতন্ত্র) ও চরসুবুদ্ধিতে নাসির উদ্দিন (আ.লীগ)।
সিলেট
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে সিলেট জেলার ১৫টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়। ভোট গণনা শেষে রাতে এসব ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া ৫টিতে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতারা বিজয়ী হয়েছেন। অন্য ৪ ইউনিয়নের মধ্যে দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, একটিতে জামায়াত নেতা ও একটিতে খেলাফত মজলিসের নেতা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সিলেট সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে মোগলগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হিরণ মিয়া, কান্দিগাঁওয়ে জামায়াত নেতা আবদুল মনাফ, জালালাবাদে আওয়ামী লীগের ওবায়দুল্লাহ ইসহাক ও হাটখোলায় খেলাফত মজলিসের মাওলানা রফিকুজ্জামান বিজয়ী হয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হওয়া বিএনপি নেতা আলমগীর হোসেন আলম, তেলিখালে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুল ওয়াদুদ আলফু, ইছাকলসে বিএনপি সমর্থক সাজ্জাদুর রহমান, উত্তর রণিখাইয়ে আওয়ামী লীগের ফয়জুর রহমান ও দক্ষিণ রণিখাইয়ে আওয়ামী লীগের ইকবাল হোসেন এমাদ বিজয়ী হয়েছেন।
বালাগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্রের ব্যানারে বিএনপি নেতা মো. আব্দুল মুনিম, পূর্ব গৌরীপুরে বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব, পশ্চিম গৌরীপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আবদুর রহমান মাখন, বোয়ালজোড়ে আওয়ামী লীগের আনহার মিয়া, দেওয়ান বাজারে বিএনপির নাজমুল আলম ও পূর্ব পৈলনপুরে আওয়ামী লীগের শিহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।
সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শুকুর আহমদ মিয়া জানান, সিলেটে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটাররা উৎসবের আমেজে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নাটোর
দ্বিতীয় দফার ইউপি নির্বাচনে নাটোর সদরের ৭টি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
নাটোর সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে যারা চেয়ারম্যান হয়েছে তারা হলেন- তেবাড়িয়া ইউনিয়নে ওমর আলী প্রধান (নৌকা), কাফুরিয়া ইউনিয়নে আবুল কালাম (স্বতন্ত্র), হালসা ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম (নৌকা বিদ্রোহী), ছাতনী ইউনিয়নে তোফাজ্জল হোসেন সরকার (নৌকা), দিঘাপতিয়া ইউনিয়নে শরিফুল ইসলাম বিদ্যুৎ (নৌকা), বড়হরিশপুর ইউনিয়নে ওসমান গণী ভুঁইয়া (নৌকা) এবং লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া নুরুজ্জামান কালু (নৌকা বিদ্রোহী।
এ ছাড়া বড়াইগ্রাম উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে যারা ইউপি চেয়ারম্যান হলেন তারা হচ্ছেন- চান্দাই ইউনিয়নে শাহনাজ পারভীন (নৌকা), জোনাইল ইউনিয়নে আবুল কালাম আজাদ (নৌকা বিদ্রোহী), নগর ইউনিয়নে মস্তফা শামসুজোহা সাহেব (নৌকা বিদ্রোহী), বড়াইগ্রাম ইউনিয়নে মোমিন আলী (নৌকা) এবং গোপালপুর ইউনিয়নে আবু বক্কর সিদ্দিক (নৌকা)।
মৌলভীবাজার
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
ভোট গ্রহণ শেষে প্রাপ্ত ফলাফলে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে জায়ফরনগর ইউনিয়নে হাজী মাছুম রেজা ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৯৪৭৯ ভোট নিয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের হাবিবুর রহমান পান ৮০১০ ভোট।
পশ্চিমজুড়ী ইউনিয়নে আনফর আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪৩৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের শ্রীকান্ত দাশ পেয়েছেন ৩৯৩৮ ভোট।
পূর্বজুড়ী ইউনিয়নে রুয়েল উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৪৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের সালেহ উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩০৮৮ ভোট।
গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নে মো. আব্দুল কাইয়ুম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৫৪৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের শাহাব উদ্দিন আহমদ পেয়েছেন ৩৫০৩ ভোট।
সাগরনাল ইউনিয়নে আব্দুল নুর নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭১৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীকের এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী পেয়েছেন ৫২২৭ ভোট।
মেহেরপুর
মেহেরপুরের ৯টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ জন আওয়ামী লীগের, ৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতরা হলেন- মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নে মফিজুর রহমান মফিজ (বিদ্রোহী), মহাজনপুরে আমাম হোসেন মিলু (বিদ্রোহী), বাগোয়ানে আয়ুব হোসেন (বিদ্রোহী), দারিয়াপুরে মাহবুব আলম রবি (বিদ্রোহী), গাংনী উপজেলায় কাথুলীতে মিজানুর রহমান রানা (বিদ্রোহী), মটমুড়াতে সোহেল আহমেদ (বিদ্রোহী), সাহারবাটিতে মশিউর রহমান (আওয়ামী লীগ), বামুন্দিতে ওবাইদুর রহমান কমল (আওয়ামী লীগ), তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে নাজমুল হুদা পঁচু (বিদ্রোহী)।
লক্ষ্মীপুর
দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের ৪ ইউপি’র মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩টিতে আওয়ামী লীগ ও অপরটিতে ইসলামী আন্দোলনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
তথ্য মতে, জেলার কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুল আমিন মাস্টার (নৌকা প্রতীক) নির্বাচিত হয়েছেন।
চর মার্টিন ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা প্রতীক) ইউছুফ আলী (মিয়া ভাই) ৯ হাজার ৮৫১ ভোটে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দিন রাজু (মটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ২ হাজার ২৬ ভোট।
চর কাদিরা ইউনিয়নে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের খালেদ সাইফুল্লাহ্ (হাতপাখা) ৪ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দিন রাজু (মোটরসাইকেল) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৯৭ ভোট। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম সাগর (নৌকা) ১ হাজার ৫১৩ ভোট পেয়ে ৩য় অবস্থানে রয়েছেন।
রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মুজাহিদুল ইসলাম সুমন (নৌকা প্রতীক) ১২ হাজার ৯৪৮ ভোটে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মাহবুব আলম রাসেল (ঘোড়া) পেয়েছেন ১ হাজার ৯১ ভোট।
যশোর
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে নৌকার প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। বাকি তিনটির মধ্যে দুইটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন।
ঝিকরগাছার গঙ্গানন্দপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আমিনুর রহমান, মাগুরা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুর রাজ্জাক, শিমুলিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মতিয়ার রহমান সর্দার, গদখালি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শাজাহান আলী, পানিসারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জাকির হোসেন পিপুল, ঝিকরগাছা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আমির হোসেন, নাভারন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত শাহজাহান আলী, নির্বাসখোলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত খায়রুজ্জামান, হাজিরবাগ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আতাউর রহমান মিন্টু, শংকরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত গোবিন্দ চন্দ্র চ্যাটার্জী এবং বাঁকড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) আনিস উর রহমান বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে যশোরের চৌগাছার ১১টি ইউপিতে চেয়ারম্যান হলেন যারা- ১ নং ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের মেহেদী মাসুদ চৌধুরী (নৌকা), ২ নং পাশাপোল ইউনিয়ন পরিষদের অবাইদুল ইসলাম সবুজ (নৌকা), ৩নং সিংহঝুলী ইউনিয়ন পরিষদের হামিদ মল্লিক (চশমা -স্বতন্ত্র), ৪ নং ধূলিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের এস এম মোমিনুর (আনারস-স্বতন্ত্র), ৫নং চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের আবুল কাসেম (নৌকা), ৬নং জগদীশপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাস্টার সিরাজুল ইসলাম (আনারস-স্বতন্ত্র), ৭নং পাতিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের আতাউর রহমান লাল (আনারস-স্বতন্ত্র), ৮নং হাকিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাসুদুল হাসান (আনারস-স্বতন্ত্র), ৯নং স্বরুপদাহ ইউনিয়ন পরিষদের নুরুল কদর (আনারস-স্বতন্ত্র), ১০ নং নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের শাহিনুর রহমান (নৌকা) ও ১১ নং সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের হবিবর রহমান (নৌকা)।
তবে ১ নং ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ও ৫নং চৌগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের আবুল কাসেম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁওয়ে রাণীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে নৌকা প্রার্থী ৬টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৫টিতে জয়ী হয়েছে।
রাণীশংকৈল উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আর হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৩০ জন। ১১টি ইউনিয়নে ৯৯ ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে ব্যালটের মাধ্যমে এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচন অফিসের সূত্রে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী রাণীশংকৈল উপজেলা ৫টি ইউনিয়নে- ৭ নং রাতোর ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী বাবু শরৎচন্দ্র রায়, ১ নং ধর্মগড় ইউনিয়নের নৌকার আবুল কাশেম, ৬ নং কাশীপুর ইউনিয়নের নৌকার মাঝি আতিকুর রহমান বকুল, ৪ নং লেহেম্বা ইউনিয়নের নৌকা প্রার্থী আবুল কালাম এবং ২ নং নেকমরদ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল নিয়ে আবুল হোসেন মাস্টার জয়ী হয়েছেন।
হরিপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নের মধ্যে ৫ নং হরিপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম ডিলার, ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফইজুর রহমান কাদেরি, ১ নং গেদুরা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী তরিকুল ইসলাম, ৬ নং ভাতুড়িয়া থেকে স্বতন্ত্র শাহজাহান, ২ নং আমগাঁও থেকে নৌকার প্রার্থী পাভেল তালুকদার এবং ৩ নং বকুয়া থেকে নৌকা নিয়ে আবু তাহের জয়ী হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হয়েছেন ১০টিতে নৌকা, ৩টি লাঙ্গল ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর আগে একক প্রার্থী থাকায় ৫ ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকের ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।
নারায়ণগঞ্জ সদরে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে এম সাইফুল্লাহ বাদল, এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে মো. আসাদুজ্জামান, আলীটেক ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাকির হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফজর আলী, বন্দর উপজেলায় বন্দর ইউনিয়ন পরিষদে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে এহসান উদ্দিন আহমেদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে গাজী এম এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন, মুসাপুর ইউনিয়ন পরিষদে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মাকসুদ হোসেন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে দেলোয়ার হোসেন প্রধান বিজয়ী হন।
রূপগঞ্জ উপজেলায় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাহেদ আলী, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদে, ভোলাব ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন টিটু চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া একক প্রার্থী হওয়ায় এর আগে ৫টি ইউনিয়ন পরিষদে বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে এম শওকত আলী, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীক নিয়ে মনিরুল ইসলাম সেন্টু, ভুলতা ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে ব্যারিস্টার আরিফুল হক ভুঁইয়া, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে তোফায়েল আহমেদ আলমাছ, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদে নৌকা প্রতীকে কামরুল হাসান তুহিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কালীগঞ্জ
গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের ৮ জন ও স্বতন্ত্র থেকে ৩ জন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন সিংহশ্রী ইউনিয়নে পারভেজ খোকন, রায়েদ ইউনিয়নে শফিকুল হাকিম মোল্লা হিরন, টোক ইউনিয়নে এম এ জলিল, ঘাগটিয়া ইউনিয়নে হারুন অর রশিদ হিরন, সনমানিয়া ইউনিয়নে অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক ভূইয়া, কড়িহাতায় ইউনিয়নে মাহবুবুল আলম মোড়ল, তরগাঁও ইউনিয়ন আয়ুবুর রহমান সিকদার, কাপাসিয়া সদর ইউনিয়নে সাখাওয়াত হোসেন প্রধান।
অন্যদিকে, উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন চাঁদপুর ইউনিয়নে ইকবাল মাহমুদ খান (মোটরসাইকেল), দুর্গাপুর ইউনিয়নে এমএ ওয়াহাব খান খোকা (মোটরসাইকেল) ও বারিষাব ইউনিয়নে এসএম আতাউজ্জামান বাবলু (আনারস)।
পাবনা
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পাবনার সুজানগর উপজেলার দশটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আটটিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও দুই জন বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী হাটখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের ফিরোজ আহম্মেদ খান ৭৫৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) ঘোড়া প্রতীকের আজাহার আলী শেখ পেয়েছেন ৬৫৫৫ ভোট। আর নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুর রউফ তৃতীয় স্থানে থেকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৭ ভোট।
সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের আবুল হোসেন ৯০৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এস এম শামসুল আলম পেয়েছেন ৬৫৭৬ ভোট।
মানিকহাট ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শফিউল ইসলাম ১৪৩৬৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) আনারস প্রতীকের আব্বাস আলী মল্লিক পেয়েছেন ৪৬৯০ ভোট।
তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মতিন মৃধা ৬৪৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী স্বতন্ত্র মোটরসাইকেল প্রতীকের আব্দুর রউফ পেয়েছেন ৫০৫০ ভোট।
ভায়না ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আমিন উদ্দিন ৬৫৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুক পেয়েছেন ৪২২৯ ভোট।
দুলাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম ৭০৬৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আপন ভাতিজা সাইদুর রহমান সাইদ পেয়েছেন ৬৪৮৩ ভোট।
সাগরকান্দি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহিন চৌধুরী ১৩৫৪৭ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ তৈয়ব আলী শেখ পেয়েছেন ৩৫২৮ ভোট।
নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মশিউর রহমান ৫৯৪০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের নুর মোহাম্মদ পেয়েছেন ২৯৩৭ ভোট।
আহম্মদপুর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়া ৭৫৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আপন ভাতিজা আনারস প্রতীকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমান হিরা পেয়েছেন ৬০১০ ভোট।
রানীনগর ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এইচ এম পিযুষ ৭৩৮৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ আলী বিশ্বাস পেয়েছেন ২৪৪৯ ভোট।
বগুড়া
দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বগুড়ার শিবগঞ্জ এবং শেরপুর উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে, শিবগঞ্জের ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে একটি ইউনিয়নের ভোট গণনায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ১০টি ইউনিয়নের বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এই ইউনিয়নগুলোর আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যানরা হলেন- কিচক ইউনিয়নে এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী, বিহার ইউনিয়নে মহিদুল ইসলাম, বুড়িগঞ্জ ইউনিয়নে রেজাউল করিম চঞ্চল, দেউলী ইউনিয়নে জাহিদুল ইসলাম টাকো, শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নে শহিদ ইসলাম শহিদ।
নির্বাচিত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন – আটমূল ইউনিয়নে বেলাল হোসেন, ময়দানহাট্টা ইউনিয়নে আবু জাফর মণ্ডল, পিরব ইউনিয়নে আসিফ মাহমুদ মিলটন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন – রায়নগর ইউনিয়নে শফিকুল ইসলাম শফি ও মাঝিহট্ট ইউনিয়নে এসকেন্দার আলী সাহানা।
এ ছাড়া সৈয়দপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মোত্তালিব এগিয়ে থাকলেও একটি কেন্দ্রে ভোট গণনায় জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ওই কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে শেরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চার জন, স্বতন্ত্র চার জন এবং একজন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- খামারকান্দি ইউনিয়নের আব্দুল মোমিন মহসিন, সুঘাট ইউনিয়নে মনিরুজ্জামান জিন্নাহ, সীমাবাড়ী ইউনিয়নে গৌরদাস রায় চৌধুরী ও ভবানীপুর ইউনিয়নে এসএম আবুল কালাম আজাদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- কুসুম্বী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ শাহ আলম পান্না, মির্জাপুর ইউনিয়নে আলহাজ জাহিদুল ইসলাম, খানপুর ইউনিয়নে পিয়ার উদ্দিন ও শাহবন্দেগী ইউনিয়নে কাজী আবুল কালাম আজাদ। বিশালপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাকির হোসেন।
পঞ্চগড়
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের দুইটিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং পাঁচটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নৌকার বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন- তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নে মাসুদ করিম সিদ্দিকী, শালবাহান ইউনিয়নে আশরাফুল ইসলাম।
অন্যদিকে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কুদরত-ই-খুদা মিলন, তীরনইহাট ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তারেক হোসেন, ভজনপুর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মসলিম উদ্দীন এবং দেবনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলেমান আলী।
নৌকা প্রতীক নিয়ে তেঁতুলিয়া সদর ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী মাসুদ করিম সিদ্দিকী ৬ হাজার ১২৪ ভোটে পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদত হোসেন রঞ্জু মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৮৫ ভোট। শালবাহান ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম বিজয়ী হয়েছেন ৭ হাজার ৩৭১ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফজলুর রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৯৫৫ ভোট।
এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী কুদরত-ই-খুদা মিলন চশমা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ১৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহাবুবুল আলম মিলন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৮ ভোট। তিরনইহাট ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী আলমগীর হোসাইন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ২২৭ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দানিয়েল হোসাইন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ২২১ ভোট। বুড়াবুড়ি ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী তারেক হোসেন চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৫ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুজ্জামান মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৮৬৬ ভোট। ভজনপুর ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী মসলিম উদ্দীন আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৯৪ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মকসেদ আলী চশমা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৭০০ ভোট। দেবনগর ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী ছলেমান আলী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৯০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহসিনউল হক মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৩৮ ভোট।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সরকারিভাবে ৬টি ইউনিয়নেই চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। আর বাকি দুটি ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী। জয়ী স্বতন্ত্র ৬ প্রার্থীর প্রতীক ছিল আনারস।
গোমস্তাপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জামাল উদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৬০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ আল রাইহান পেয়েছেন ৭ হাজার ৯২২ ভোট।
আলীনগর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কাশেম মাসুম ৩ হাজার ৮৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সরফরাজ নেওয়াজ সুজন পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৫৫ ভোট।
রহনপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুজ্জামান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৫০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ওবাইদুর রহমান চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৯০৩ ভোট।
বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ৯ হাজার ৩৫৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাদেরুল ইসলাম পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৩ ভোট।
বোয়ালিয়া ইউনিয়নে ৯ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামিউল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী জিল্লুর রহমান লালু আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৪৯ ভোট।
চৌডালা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম কিবরিয়া হাবিব আনারস প্রতীকে ৮ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনসারুল হক নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৮ হাজার ১৮১ ভোট।
পার্বতীপুর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন ১১ হাজার ৩৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী লিয়াকত আলী খান পেয়েছেন ১০ হাজার ৬৬৪ ভোট।
রাধানগর ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মতিউর রহমান ১৩ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৪১ ভোট।
সাভার
ঢাকার ধামরাইয়ে ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে ৮টিতে আওয়ামী লীগ, ৫টিতে বিদ্রোহী ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।
বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের জয়ী প্রার্থীরা হলেন- সানোড়ায় মো. খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, বাইশাকান্দায় মো. মিজানুর রহমান মিজান, গাংগুটিয়ায় মো. আব্দুল কাদের মোল্লা, রোয়াইল মো. কাজিম উদ্দিন খান, কুশুরায় মো. নুরুজ্জামান, বালিয়ায় মো. মুজিবুর রহমান, সুয়াপুরে মো. কফিল উদ্দিন ও আমতায় আরিফ হোসেন।
বেসরকারিভাবে নির্বাচিত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন- সোমভাগে মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন, নান্নারে আলতাফ হোসেন মোল্লা, যাদবপুরে মিজানুর রহমান মিজু, ভাড়ারিয়ায় মোসলেম উদ্দিন মাসুম ও কুল্লা ইউনিয়নে জয়ী হয়েছেন মো. লুৎফর রহমান।
এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ধামরাই সদর ইউনিয়নে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন মো. মশিউর রহমান ও চৌহাটে পারভীন হাসান প্রীতি।
রাঙামাটি
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২টিতে আওয়ামী লীগ এবং একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
কাপ্তাই উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী আবদুল লতিফ পেয়েছেন ৫৬৪১ ভোট। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে মহিউদ্দিন পাটোয়ারী বাদল পেয়েছেন ৮১৩ ভোট।
২ নং রাইখালী ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মংক্য মারমা পেয়েছেন ৬২১০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীক নিয়ে এনামুল হক পেয়েছেন ১৬৮৪ ভোট এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে থোয়াই সা প্রু চৌধুরী (রুভেল) পেয়েছেন ১৪১৫ ভোট।
৫ নং ওয়াগ্গা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী চিরনজীত তনচংগ্যা। তার প্রাপ্ত ভোট ৩৮২৬ ভোট। নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্ধী আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আপাই মারমা পেয়েছেন ১৫৪৭ ভোট।
জয়পুরহাট
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুই উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছয় জন আওয়ামী লীগ মনোনীত এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলেন- ক্ষেতলাল উপজেলার আলমপুর ইউপিতে আনোয়ারুজ্জামান তালুকদার (নৌকা) মামুদপুর ইউপিতে মশিউর রহমান শামীম (নৌকা) আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউপিতে ডিএম রাহেল ইমাম (নৌকা) রায়কালী ইউপিতে আব্দুর রশীদ মণ্ডল (নৌকা), তিলকপুর ইউপিতে সেলিম মাহবুব সজল, রুকিন্দিপুর ইউপিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আহসান কবির এপ্লব (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গোপীনাথপুর ইউপিতে হাবিবুর রহমান বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের মহেশপুরের ১২ ইউনিয়নের নির্বাচনে ৬টিতে নৌকা ও ৬টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
বিজয়ীরা হলো- আজমপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শাহাজাহান আলী, মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আমিনুর রহমান, যাদুবপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী সালাউদ্দিন, স্বরুপপুর ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান, ন্যাপা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শামসুল ইসলাম মৃধা, নাটিমা ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবুল কাশেম মাস্টার।
এ ছাড়াও এসবিকে ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আরিফান হাসান চৌধুরী লুথান, ফতেপুর ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম হায়দার নান্টু, বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা জিন্টু, শ্যামকুড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামিরুল ইসলাম, কাজীরবেড় ইউনিয়নে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র ইয়ানবী ও পান্তাপাড়া ইউনিয়নে মাজহারুল ইসলাম স্বতন্ত্র বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী হয়েছেন।
দিনাজপুর
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও একটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। ১ নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাওছার রহমান, ২ নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ছদরুল ইসলাম এবং ৩ নং আলীহাট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু সুফিয়ান নির্বাচিত হয়েছেন।
১ নং খট্রা-মাধবপাড়া ইউনিয়নে ৪ হাজার ৮১৫ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাওছার রহমান আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল মালেক উদ্দিন ঘোড়া প্রতীক পেয়েছেন ৪ হাজার ৬৬২ ভোট।
২ নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নে ৬ হাজার ৭৬০ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছদরুল ইসলাম নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মেফতাহুল জান্নাত মোটরসাইকেল প্রতীক পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৯ ভোট।
৩ নং আলীহাট ইউনিয়নে ৫ হাজার ৩৯৩ ভোট পেয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু সফিয়ান নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমিনুল ইসলাম চশমা প্রতীক পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৭ ভোট।
চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৭ জন ও স্বতন্ত্র ৫ প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচিতরা হলেন- উপজেলার ১নং বাগান বাজার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদত হোসেন সাজু, ২নং দাতঁমারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. জানে আলম, ৩নং নারায়ণহাট ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মাহামুদ সিকদার, ৫নং হারুয়ালছড়ি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ৬নং পাইন্দং ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম ছরওয়ার হোসেন স্বপন, ৭নং কাঞ্চন নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ দিদারুল আলম, ১০নং সুন্দরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, ১৫ নং রোসাংগীরি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সোয়েব আল সালেহীন, ১৯নং সমিতিরহাট ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হারুন অর রশিদ ইমন, ১৮নং ধর্মপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী মাহমুদুল হক, ১৭ নং জাফতনগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া উদ্দিন জিয়া ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে আব্দুল্লাহপুরে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অহিদুল আলম। তবে লেলাং ও বখতপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর রিট-আপিল জটিলতায় চেয়ারম্যান পদে ৬ সপ্তাহ হাইকোর্ট নির্বাচন স্থগিত করেছেন।
মাদারীপুর
মাদারীপুরের দুটি উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের ৪টি আওয়ামী লীগ, ৯টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। কালকিনিতে ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন এবং ৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে।
এ ছাড়াও ডাসার উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের একটিতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও ৪টিতে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কালকিনি উপজেলায় স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীরা হলেন লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নে মৌসুমি হক সুলতানা, সাহেবরামপুর ইউনিয়নে মুরাদ সরদার, বাশগাড়ী ইউনিয়নে মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, কয়ারিয়া ইউনিয়নে কামরুল ইসলাম মোল্লা (নুর মোহাম্মদ), শিকারমঙ্গল ইউনিয়নে সিরাজুল হক মাল।
আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হলেন সিডি খান ইউনিয়নে চানমিয়া শিকদার, আলীনগর ইউনিয়নে সাহিদ পারভেজ, রমজানপুর ইউনিয়নে বিএম মিল্টন ইব্রাহিম।
ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রেজাউল করিম ভাষাই। এ ছাড়াও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন কাজীবাকাই ইউনিয়নে নুর মোহাম্মদ হাওলাদার, বালিগ্রাম ইউনিয়নে মজিবুর রহমান, নবগ্রাম ইউনিয়নে দুলাল তালুকদার, গোপালপুর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন ফরহাদ হোসেন। এদের বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।