বরগুনার আমতলী পৌরসভার ২ নং ওয়াার্ডের আব্দুল জব্বার মাষ্টারের পুত্র বিজিবি সদস্য মো. আসাদুজ্জআমান দেশের সেরা কারাতে খেলোড়ায় হয়ে দেশের সম্মান উচু করতে চান।
২০১২ সালে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড বিজিবি চাকুরী হয় আসাদুজ্জামানের । চাকুরীর প্রশিক্ষন শেষ হয়ে যাওয়ার পরে ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় অনুশিলন শুরু হয়।ঐ অনুশিলন ক্যাম্পে যোগ দেয় আসাদুজ্জামান । অনুশিলনে ভাল করায় কারাতে ফেডারেশন তাকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাঠায় । প্রতিটি প্রতিযোগিতায় আসাদুজ্জামান ভাল ফলাফল করেন।
বর্তমানে আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবির হেডকোয়াটার পিল খানায় ল্যান্স নায়েক পদে কর্মরত আছেন।বাংলাদেশ কারাতে ফেডারেশন থেকে ব্লাক বেল্ট ১ম ড্যান পান ২০১৬ সালে । ২০১৫-২০১৬-২০১৭ সাল থেকে টানা তিন বছর বিজিবির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কারাতেতে স্বর্ন পদক অর্জন করেন।একই সময়ে জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় ২০১৮ সালে তাম্র পদক পান। এ ছাড়া স্বাধীনতা দিবসে কারাতে ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত খেলায় দুটি স্বর্ন পদক ও দুটি রৌপ্য পদক পান। বিজয় দিবসে ৩টি স্বর্ন পদক পান। আন্তর্জাতিক কারাতে প্রতিযোগিতায় ২০১৭ সালে দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয় বিজিবির র্যান্স নায়েক আসাদুজ্জামানের ।
জাতীয় দলের হয়ে ভারতের কলকাতায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেন। এতে – ৭৫ কেজির বেশি ওজন শ্রেণিতে রৌপ্য পদক পান । এ প্রতিযোগিতায় ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কাসহ ছয়টি দেশ অংশ নেয়। একই বছরে ভারতের পাঞ্চাবে অনুষ্ঠিত ২ য় আন্তজার্তীক সোতোকান কারাতে দো চ্যাম্পিয়ন শীপে অংশগ্রহন করে – ৭৫ কেজিতে স্বর্ন পদক পান।এতে, , ভারত, নেপাল , বাংলাদেশ ভুটান , শ্রীলংকাসহ ৬টি দেশ অংশ নেয়।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘স্কুলে দৌড়, ভলিবল প্রতিযোগিতায় ভাল করতাম । বিজিবিতে যোগদানের পর কারাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে নিজের খেলোয়াড়ি বিদ্যাটাকে আরেকটু সমৃদ্ধ করে নিলাম। সময় পেলেই কারাতে অনুশীলন করতে ভালো লাগে।’নিজের সাফল্যের ভাগ দিতে চান পরিবার, সহকর্মী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের। ভবিষ্যাতে তিনি আন্তজার্তিক কারাতে প্রতিযোগিতায় দেশের জন্য সাফল্য বয়ে নিয়ে আসতে চান।