 
                                            
                                                                                            
                                        
বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার মঞ্চ থেকে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা চৌধুরীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম উত্তাল। এজন্য চট্টগ্রামের মেয়র আজম নাসির উদ্দিনকে দায়ী করে তাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে তার দলেরই নেতাকর্মীরা।
আর অপরদিকে দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেন হিরনের বাসায় গিয়ে তাঁর সহধর্মিনী জেবুন্নেসা আফরোজের খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি তাকে সাথে নিয়ে দুটি ওয়ার্ডের সম্মেলনে অতিথি করে মঞ্চে বসিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে বিপুল প্রমংসা ও সুনাম কুড়িয়েছেন বরিশাল সিটি কর্পোরেশেনর মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ।
চট্টগ্রাম আর বরিশালের এদুটি ভিন্ন ঘটনা ইতোমধ্যে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত রোববার চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় বিভাগীয় প্রতিনিধি সভার মঞ্চ থেকে প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা চৌধুরীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন বর্তমান মেয়র আজম নাসিরউদ্দিন। এনিয়ে পুরো চট্টগ্রামে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
আর ঠিক পরদিনই বরিশালে ভিন্ন একটি দৃশ্যের অবতারনা করলেন মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি শত ব্যস্ততার মাঝেও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারন সম্পাদক অ্যাড একেএম জাহাঙ্গীরসহ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরনের বাসভবনে যান। সেখানে তাকে প্রয়াত হিরনের সহধর্মিনী, সাবেক এমপি জেবুন্নেসা আফরোজ স্বাগত জানান।
অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ন পরিবেশে তারা বেশ কিছু সময় কাটান। এসময় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সার্বিক খোঁজ খবর নেন। সেখানে জেবুন্নেসার আমন্ত্রনে মেয়রসহ অন্যান্যরা দুপুরের খাবার গ্রহন করেন। আন্তরিক পরিবেশে খাবার শেষে মেয়র তাঁর গাড়ীতে করে জেবুন্নেসাকে সাথে নিয়ে নগরীর সিএন্ডবি এলাকায় অনুষ্ঠিত মহানগর আওয়ামী লীগের ১৩ ও ২৩ নং ওয়ার্ডের ত্রি বার্ষিক সম্মলন স্থলে যান।
দুজনকে একসাথে পেয়ে সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লাস আরো বেড়ে যায়। এরপর তারা মঞ্চের পাশাপাশি আসনে বসেন। মেয়র প্রধান অতিথি ও জেবুন্নেসা আফরোজ বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। মেয়র যেমন তার বক্তব্যে প্রয়াত শওকত হোসেন হিরনকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করে তার কর্মময় জীবনের কথা উল্লেখ করেন তেমনি জেবুন্নেসা আফরোজ তার বক্তব্যে মেয়রের ভূয়ষী প্রশংসা করেন।
তাদের দুজনের একই মঞ্চে পাশাপাশি বসা, সম্নান প্রর্দশন উপস্থিত সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল ঘোষ বলেন মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ যে একজন বড় মনের মানুষ এবং একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান তা আরেক বার প্রমান দিয়েছে।
চট্টগ্রামের ঘটনাটিকে অত্যন্ত দু: খজনক আখ্যায়িত করে কাজল ঘোষ বলেন, চট্টগ্রামের ঘটনার বিপরীতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ প্রয়াত মেয়র হিরনের স্ত্রীকে সম্নান দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপনের পাশাপাশি তিনি নিজে আরো সম্নানিত হয়েছেন।