 
                                            
                                                                                            
                                        
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে অবস্থিত আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বাইরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি) বসিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মনিটরিং করছে দালালরা। গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশের পর সারাদেশে বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিস ও সরকারি হাসপাতালগুলোতে একযোগে অভিযান শুরু করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন র্যাব সদরদপ্তরের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, সারাদেশে আজ সকাল থেকে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। র্যাবের ১৫টি ব্যাটালিয়ন একযোগে অভিযানে নেমেছে। পাসপোর্ট অফিস, বিআরটিএ কার্যালয়, সরকারি হাসপাতালসহ যেখানেই দালালদের দৌরাত্ম্য, সেখানেই অভিযান পরিচালনা করছে র্যাব। অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।
এরইমধ্যে ঢাকার কেরানীগঞ্জে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) ও পাসপোর্ট অফিসে দালালদের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ৫১ জনকে আটক করেছে র্যাব।
রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিআরটিএ ও পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব-১০ এক পৃথক দল।
সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বিআরটিএ অফিসে দালালির অভিযোগে ৩৬ জন ও পাসপোর্ট অফিসে দালালির অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করে র্যাব-১০। পাসপোর্ট অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১০’র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এনায়েত কবির সোয়েব।
অন্যদিকে, পৃথক অভিযানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩০ দালাল আটক করেছে র্যাব-৩’র একটি দল।
আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিস এলাকায় রোববার সকাল থেকে অভিযানে নেমেছে র্যাব-২ এর একটি দল। সেখানে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-২ এর মোবাইল কোর্ট চলমান রয়েছে।
র্যাব-২’র সহকারী পরিচালক এএসপি ফজলুল হক জানান, র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।