অনেকদিন আগেই গুঞ্জন উঠেছিল, তৃতীয় বিয়েটা করছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক এবং দেশটির রাজনৈতিক দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান ইমরান খান। তবে সেটা তখন গুঞ্জনই ছিল। এবার জানা যাচ্ছে, তৃতীয়বার বিয়েটা তিনি সেরেই ফেলেছেন। পাকিস্তানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমার্ধমে ছড়িয়ে পড়েছে এই খবর। তবে, খবরের সত্যতা এখনও জানা যায়নি। সবারই কৌতহলোদ্দিপক সংবাদ, ‘তৃতীয় বিয়েটা কী অবশেষে সেরেই ফেললেন ইমরান খান?’
জানা যাচ্ছে, বছরের শুরুতেই তার এক দীর্ঘ দিনের ধর্মগুরুর সঙ্গেই বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান অধিনায়ক। ইমরানের ঘনিষ্ঠ মহলেরও দাবি, ‘গত ১ জানুয়ারি রাতে লাহোরে গোপনেই তৃতীয়বারের জন্য বিয়ের সাজে সেজেছিলেন ইমরান।’
ওই মহলের দাবি, বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান তেরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির কোর কমিটির সদস্য মুফতি সাঈদ। তিনিই নাকি এই বিয়ের মূল উদ্যোক্তা। পাকিস্তানের দ্য নিউজের বরাতে এই সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মেইল।
দ্য নিউজের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ‘দীর্ঘদিন যাতায়াত ছিল ইমরানের সেই ধর্মগুরুর কাছে। শেষ পর্যন্ত ১ জানুয়ারি রাতে গোপনে তিনি তাকেই বিয়ে করেন। এবং কনের বাড়ি থেকেই পরেরদিন ইসলামাবাদে অ্যান্টি-টেরোরিজম কোর্টে হাজিরা দিতে যান। বিবাহ যে মুফতি সাঈদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে খবরও জানিয়েছে দ্য নিউজ।
মুফতি সাঈদের উদ্যোগেই দ্বিতীয় বিবাহ করেছিলেন ইমরান খান। সেবার তিনি বিয়ে করেছিলেন রেহাম খানকে। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি যেটা প্রকাশ্যে আসে। তবে, জানা গিয়েছে, রেহাম খানকেও ২০১৪ সালের নভেম্বরে প্রথমে গোপনে বিয়ে করেছিলেন ইমরান। তবে ইমরানের তৃতীয় বিয়ের ব্যাপারে মুফতি সাঈদ নীরবতা অবলম্বন করেন। তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্যই করেননি দ্য নিউজের কাছে।
যদিও এই ঘটনাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পিটিআই-এর মুখপাত্র আওন চৌধুরী এবং নাঈমুল হক। নাঈমুল হক বলেন, ‘আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি এই রকম কিছুই হয়নি। আমি তো লাহোরে তার সঙ্গেই ছিলাম। এমন কিছুই তো ঘটেনি! ইমরান যদি বিয়েও করে, তবে তা ২০১৮-এর সাধারণ নির্বাচনের পরেই করবে।’
১৯৯৫ সালের ১৬ ডিসেম্বর জেমিমা খানকে বিয়ে করেন ইমরান। সেটা ছিল তার প্রথম বিয়ে। দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০০৪-এর ২২ জুন ইমরানের সঙ্গে জামিমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর পাকিস্তানের টিভি সঞ্চালিকা রেহাম খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ইমরান খান।