সবাই কেবল সামনের দিকে হাঁটছে। ডানে বামে সামনে পিছনে কোথাও এতটুকু ঠাঁই নেই। পিঁপড়ার মতো সারিবদ্ধভাবে ধীর লয়ে হেঁটে যাওয়া মানুষগুলোর দুই চোখ শুধু একটু বসার জায়গা খুঁজে বেড়াচ্ছে। কিন্তু অবস্থাদূষ্টে মনে হয় গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে মানুষগুলোর মাঝখান দিয়ে একটি ছোট্ট সোনামুখী সুইও নিচে পড়া সুই গলিয়ে পরতে পারবেন না।
আজ (শুক্রবার) জুমার দিনে বেলা ১১টায় আল মনোয়ারার মসজিদে নববীর ভেতরে ও বাইরে এ দৃশ্যপট দেখা যায়।
সপ্তাহের অন্যদিনগুলোতে ওয়াক্তের নামাজের সময় ভেতরে বাইরের যে কোনো স্থানে জায়গা মিললেও আজ জুমার দিনে চিত্র ছিল ভিন্ন। মসজিদের ভেতর বাইরে ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজিদের অনেকেই এখন মদিনায় শেষ সময় কাটাচ্ছেন। যারা আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে মদিনা ছাড়বেন তাদের জন্য আজ শুক্রবার ছিল বিদায়ী জুমা।
৬২২ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মসজিদে নববী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ। মসজিদটির স্থাপত্য শৈলী ধ্রুপদী ও সাম্প্রতিক ; উসমানীয়; মামলুক পুনরুত্থানকারী। এর ধারণ ক্ষমতা ৬ লাখ। হজের সময় এ সংখ্যা বেড়ে ১০ লাখ হয়। এর মিনার ১০টি ও উচ্চতা ১৫৪ ফুট।