তরুণীকে আটকে রেখে ‘পালাক্রমে’ ধর্ষণ, ২ পুলিশ ক্লোজড

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ডাকবাংলোয় আটকে রেখে এক তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার রাতে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী। এ ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হচ্ছেন- সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মাজহারুল ইসলাম।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী প্রতিবেশি রহিমা বেগমের সঙ্গে সাটুরিয়ায় আসে। এর পর সাটুরিয়া থানার এসআই সেকেন্দার হোসেন থানার পাশে ডাকবাংলাতে তাদের নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রহিমা বেগমের সঙ্গে আসা তরুণীকে জোরপূর্বক ইয়াবা ট্যাবলেট খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করা হয়। এর পর এসআই সেকেন্দার ও এএসআই মাজহারুল ইসলাম তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে শুক্রবার বিকেল ৪টায় তাদের ছেড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত দুদিন তারা ওই তরুণীকে পালাক্রমে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে তরুণীর সঙ্গে আসা রহিমা বেগম জানান, এসআই সেকেন্দার হোসেন তার পূর্ব পরিচিত। একসঙ্গে জমি কেনার বিষয়ে গত তিনবছর আগে তিনি সেকেন্দারকে এক লাখ টাকা দিয়েছিলেন। সেই টাকা নিতে তিনি তার প্রতিবেশী ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে সাটুরিয়ায় আসেন।

তিনি বলেন, সেকেন্দার হোসেন তাদেরকে টাকার বিষয়ে কথা বলার জন্য থানার পাশেই সরকারি ডাকবাংলোতে নিয়ে যান। সেখানে পাওনা এক লাখ টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পাশের একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখেন। আর অন্য কক্ষে প্রতিবেশী ওই তরুণীকে নিয়ে সেখানে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

তিনি আরও জানান, বিষয়টি কাউকে জানাতে বা মামলা-মোকদ্দমা না করতে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় অভিযুক্ত পুলিশের দুই কর্মকর্তা। বিষয়টি ফাঁস করলে বিভিন্ন মামলায় জড়িত করে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, শনিবার বিকেলে টেলিফোনে পাওনা টাকার বিষয়ে দুই পুলিশের সঙ্গে এক নারীর অপ্রীতিকর ঘটনার খবর জেনে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পুলিশ লাইসেন্স প্রত্যাহার করা হয়।

তিনি আরও বলেন- রোববার ভিকটিম স্বশরীরের উপস্থিত হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর সার্কেলের এএসপি হাফিজুর রহমানকে বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পুলিশ সদস্য বলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’