২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
ঢাকা–৭ আসনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান মানিককে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ফলে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারলেন না ডিএসসিসির ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ ইদ্রিস বেপারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। হাসিবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ও প্রার্থিতা ফিরে পেতে তার করা এক রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
হাসিবুর রহমান ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ঢাকা–৭ আসন থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেন। ৪ ডিসেম্বর ঋণখেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে তিনি ইসিতে আপিল করেন, যা ১৪ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর প্রার্থিতা ফিরে পেতে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। ২০ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার প্রার্থিতা ফেরত দেন।
নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ জানিয়েছেন, হাসিবুর রহমান এর আগে হাইকোর্টের আরেক বেঞ্চে রিট আবেদন করেছিলেন। সেই বেঞ্চ তার রিট খারিজ করে দেন। সেই তথ্য গোপন করে নতুন করে হাইকোর্টে রিট করেন। এটা হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী বেআইনি। এ কারণে তার হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।
আইনজীবী বলেন, ঋণের বিপরীতে হাসিবুর রহমান এরই মধ্যে ডাউন পেমেন্ট দিয়েছেন—সংশ্লিষ্ট ব্যাংক তা অনুমোদন করেছে। তিনি ঋণখেলাপি নন। হাইকোর্ট হাসিবুর রহমানকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অনুমতি দিতে এবং প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি প্রতীকও পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন তিনি আর নির্বাচন করতে পারবেন না।
