ডি কক-ডুসেনের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ পেলো দ. আফ্রিকা

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

কুইন্টন ডি কক তুলে নিলেন বিশ্বকাপে তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। অন্যদিকে রাসি ফন ডের ডুসেন তুলে নিলেন বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে (১১৪ ও ১৩৩) ভর করে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৩৫৭ রান। জিততে নিউ জিল্যান্ডকে করতে হবে ৩৫৮ রান।

 

এদিন পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৮ রানেই অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় প্রোটিয়ারা। তিনি ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হন।

সেখান থেকে দলকে টেনে নিতে থাকেন ডি কক ও ডুসেন। তারা দুজন হয়ে ওঠেন ভয়ঙ্কর। নিউ জিল্যান্ডের বোলারদের তুলোধুনে করে ডি কক তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ছুঁয়ে ফেলেন এক বিশ্বকাপে চার সেঞ্চুরির কুমার সাঙ্গাকারার রেকর্ড।

 

অবশ্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরিটিকে বেশি বড় করতে পারেননি তিনি। ৪০তম ওভারে দলীয় ২৩৮ রানের মাথায় ফেরেন ডি কক। যাওয়ার আগে ১১৬ বলে ১০টি চার ও ৩ ছক্কায় করে যান ১১৪ রান। আর ডুসেনের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করে যান ২০০ রান ১৮৯ বলে।

এরপর ডুসেনও তুলে নেন চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ও ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১০১ বলে ৮টি চার ও ২ ছক্কায় সেঞ্চুরি করার পর মারমুখী হয়ে ওঠেন তিনি। ৩১৬ রানের মাথায় গিয়ে ফেরেন ডুসেন। যাওয়ার আগে ১১৮ বলে ৯টি চার ও ৫ ছক্কায় করে যান ১৩৩ রান। আর হেনরিক ক্লাসেনের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে দলীয় সংগ্রহে যোগ করে যান ৪৩ বলে ৭৮ রান।

 

ডুসেন ফেরার পর ঝড় তোলেন ডেভিড মিলার। মাত্র ২৯ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। অবশ্য এরপর আউট হন শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে। ৩০ বলে ২টি চার ও ৪ ছক্কায় ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

নতুন ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় সংগ্রহকে নিয়ে যান ৩৫৭ তে। ক্লাসেন ১ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে।

বল হাতে নিউ জিল্যান্ডের টিম সাউদি ১০ ওভারে ৭৭ রান দিয়ে ২টি উিইকেট নেন। ট্রেন্ট বোল্ট ১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৯ রান দিয়ে নেন ১টি উইকেট। আর জিমি নিশাম ৫.৩ ওভারে ৬৯ রানে নেন ১টি উইকেট।