ঝালকাঠিতে চাচার সঙ্গে ভাতিজার সাথে ৩০ বছরের জমিজমা নিয়ে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তি করলেন একজন মহৎ হৃদয়ের পুলিশ অফিসার। তিনি ঝালকাঠি জেলা পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এম এম মাহমুদ হাসান পিপিএম (বার)। যিনি মানবসেবায় নিজেকে নিবেদিত করেছেন। পুলিশের প্রধান কাজ যে মানুষের সেবা, সেটা অনেকক্ষেত্রেই আমরা অনুভব করতে পারি না। তবে কেউ কেউ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। কেবল কঠোরতাই নয়, অবহেলিত, নির্যাতিত ও নিগৃহীত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়ে সবার ধারণা পাল্টে দিয়েছেন মানবিক পুলিশ অফিসার মাহমুদ হাসান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মাহামুদ হাসান চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। ঝালকাঠিতে যোগদানের পর বিট পুলিশিং, কমিউনিটি পুলিশিং ও স্টুডেন্ট কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমে দক্ষতা ও সাফল্য দেখিয়েছেন। ভাল কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ একাধিকবার বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন।
ভুক্তোভুগী মো. মিজানুর রহমান ফরাজি বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর যাবৎ আমার আপন চাচা ঝালকাঠি মসজিদ বাড়ি সড়কের বাসিন্দা মো.আইয়ুব আলী ফরাজির সঙ্গে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ঝালকাঠির আদালত থেকে শুরু করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারস্থ হয়েও কোন সুরাহা করতে পারিনি। অবশেষে ঝালকাঠি সদর সার্কেল অফিসের এম এম মাহমুদ হাসান স্যারের কাছে যাই। তিনি আমাদের আইনি সহায়তা দিয়ে আমার চাচার সাথে শান্তিপূর্ণ সুরাহা করে দেন। আমরা বর্তমানে শান্তিতে বসবাস করিতেছি।
তিনি আরো বলেন, মাহমুদ স্যার নিঃস্বার্থভাবে অনেক পরিশ্রম করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড.খান সাইফুল্লাহ পনির ভাইয়ের মধ্যস্থতায় সুরাহা করে দেওয়ায় আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। মাহমুদ স্যারের মত লোক প্রতিটি জেলায় থাকলে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোর্টে মামলা করে বছরের পর বছর না ঘুরে দ্রুত সময় নিষ্পত্তি পাওয়া সম্ভব। স্যারের এই উপকার আমিও আমার পরিবার কোনদিন ভুলবো না। স্যার হয়তো চিরদিন এখানে থাকবেন না কিন্তু তার সততা ও নিষ্ঠা মানুষের কাছে উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।