ঝালকাঠিতে অটো গ্যারেজে আগুন অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভাধীন কান্ডপাশায় এলাকার একটি অটো রিক্সা গ্যারেজে অগ্নিকান্ডে একজন আহত সহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানাযায়। গত ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে নলছিটি কান্ডপাশা এলাকার একটি অটো গ্রেজে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

 

এ বিষয় নলছিটি ফায়ার সার্ভিস এর ষ্টেশন অফিসার গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার সময় আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থানে ছুটে যাই। প্রায় বিশ মিনিট পর আমরা ঘটনা স্থানে পৌছে দেড়ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। তার মধ্যে গ্যারেজ থেকে প্রায় আনুমানিক ২০ লক্ষধীক টাকার মালামাল উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অগ্নীকান্ডের ঘটনায় গ্যারেজের প্রায় ১৫ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতি সাধান হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। আমরা ঘটনা স্থানে পৌছানোর আগে গ্যারেজের মধ্যে লিমন ও মাসুদ খান নামের দুজন লোক ঘুমিয়ে থাকার কারনে তারা অগ্নীদগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।

 

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেই- বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় শেবাচিমে নিয়ে যায়। তবে আহত দুজনের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার্থী লিমন গুরুতর আহত হয়েছে বলে আমরা জানতে পারি। নলছিটি ফায়ার ষ্টেশন থেকে কান্ডপাশায় এলাকায় যেতে বিশ মিনিট সময় লাগার কারন ষ্টেশন অফিসারের কাছে জানতে চাওয়া হলে এ বিষয় তিনি জানান, রাস্তার সংস্কারের কাজ চলায় গাড়ী নিয়ে যেতে আমাদের একটু বেগ পেতে হয় তারপর প্রতিকুলতা কাটিয়ে আমরা দ্রুত পৌছানোর চেষ্টা করি। প্রচন্ড ঠান্ডা তারপরও পানি দিয়ে অগ্নীকান্ডের ঘটনায় আগুন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রনে এনে আমরা চলে আসি। সকাল থেকেই আমি সহ আমাদের কয়েজন ফায়ার কর্মীর ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা দিয়েছে। তবে অগ্নীকান্ড ঘটনার সূত্রপাত হিসেবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে হয়েছে বলে ষ্টেশন অফিসার মনে করেন।

 

 

স্থানীয়দের মাধ্যমে জানাযায়, নলছিটি পৌর এলাকার কান্ডপাশা গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের পুত্র মো: মাসুদ বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে ৮টি ব্যাটারী চালিত অটো ও দু’টি মোটরসাইকেল ক্রয় করে ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি নলছিটি -দপদপিয়া সড়কের পার্শ্বে কান্ডপাশা এলাকায় বৃহৎ একটি গ্যারেজ নির্মাণ করে। ওই গ্যারেজে তার নিজের যানবাহনের পাশাপাশি ব্যাটারী চার্জ দেওয়ার জন্য আরো ৩০ টি ব্যাটারী চালিত অটো, ৪টি অটো ভ্যান,১ টি অটো রিকশা ও দুটি মোটরসাইকেল ছিল।

 

ওই গ্যারেজে কান্ডপাশা এলাকার মালেক জমাদ্দারের এএএসসি পরীক্ষার্থী পুত্র লিমন ঘুমিয়ে ছিল। গভীর রাতে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলে মুহূর্তেই গ্যারেজটি সম্পূর্ণরুপে ভস্মীভূত হয়ে যায়।

 

গ্যারাজে ঘুমিয়ে থাকা লিমন আগুনে পুড়ে গুরুত্বর আহত হলে তাকে উদ্বার করে বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেলে নেয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে।

এদিকে বেকার যুবক গ্যারেজের মালিক মাসুদ খান ওই অগ্নিকান্ডে সর্বস্ব হারিয়ে পাগলপ্রায়। মাসুদ গ্যারেজ পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তাকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।