কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ পরিবেশনকে কেন্দ্র করে মধ্যরাতে বাড়ির দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শনিবার (১৪ মার্চ) ঘটনার বিষয়ে অবহিত হওয়ার পর এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুবে আলম এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাসা থেকে জোর করে তুলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিতে পারেন না। গাঁজা-মদ যদি ঘরে থেকেও থাকে, তবে তা নজরদারিতে রাখবে। এরপর যখন সময় হবে তখন তাকে মাদকসহ আটক করবে। আর এসব মাদকদ্রব্য যদি কেউ লুকিয়ে রাখে, তাহলে আমাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর তার নিজস্ব আইন বলে পদক্ষেপ নেবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের (ডিসি) সম্পর্কে কোনও রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পর যদি এ ধরনের সাজা প্রদানের ঘটনা ঘটে থাকে, তবে এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশের অবকাশ থাকে যে, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা হয়েছে।’
কুড়িগ্রামের ডিসির বিষয় সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো উচিত। কেননা ডিসি দেশের সর্বেসর্বা নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি। এছাড়া, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক আরিফ। এ বিষয়ে জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়। তবে এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।