জেলা প্রশাসককে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর আবেগঘন চিঠি

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকার খোলা ড্রেনে পড়ে মা আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি লিখেছে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তী দাস।

গত ২১ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে শ্রাবন্তীর চিঠি পৌঁছালে জেলা প্রশাসক দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) নির্দেশ দেন।

জেলা প্রশাসকের কাছে লেখা চিঠিতে শ্রাবন্তী লিখেছে, ‘আমি সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির প্রভাতী শাখার ছাত্রী। আপনি (ডিসি) আমাদের বিদ্যালয়ের সভাপতি। আপনার কাছে আমার আকুল আবেদন আমার মা পটুয়াখালী টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী।’

চিঠিতে শ্রাবন্তী আরও লিখেছে, ‘সবুজবাগ এলাকার ড্রেনে ঢাকনা না থাকায় গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রিকশায় বাসায় আসার পথে অটোবাইকের ধাক্কায় আমার মা ছিটকে ড্রেনে পড়ে যান। এতে দারুণভাবে মা আহত হন। ঈশ্বরের কৃপায় তিনি বেঁচে যান। কিন্তু ওই জায়গায় পড়লে বাঁচা খুবই মুশকিল। আমার মা যদি মারা যেত তাহলে আমি মা কোথায় পেতাম। আর যেন কোনো মা ড্রেন পড়ে না যায়, সেদিকে আপনার সদয় দৃষ্টি আবেদন করছি।’

চিঠির প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে গত ২৫ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন ও পটুয়াখালী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বাকাহীদ হোসেন শ্রাবন্তীর সবুজবাগের বাসায় গিয়ে তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

সেই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য পটুয়াখালীর পৌর মেয়রকে মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তবে এক সপ্তাহেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার পৌর মেয়রকে আবারও চিঠি দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হেমায়েত উদ্দিন বলেন, চিঠি পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক আমি এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্রাবন্তীর আহত মাকে দেখতে যাই। ওই সময়ে পৌর মেয়রকে মোবাইল ফোনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করি। তবে এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় মেয়রকে আবারও চিঠি দিয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র ডা. মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।