বাঙালির খাবার মানেই ঝাল। অন্য স্বাদের খাবার যতই দিন না কেন, ঝাল খাবার পেটে না পড়া পর্যন্ত শান্তি নেই। ভুনা, ভাজি, ভর্তা- সবরকম রান্নায়ই প্রয়োজন পড়ে ঝালের। কেউবা খাবারের সঙ্গে বাড়তি একটি কাঁচা মরিচ নিয়ে বসেন। অনেকসময় এই মরিচের ঝালেই ব্রহ্মতালু পর্যন্ত জ্বলে যায়! তখন ঝাল কমানোর জন্য শুরু হয় হা-হুতাশ। অনেকে পানি খান, কেউবা বরফ ঘষেন জিহ্বায়। কিন্তু এগুলো ঝাল কমায় না। বরং অন্য উপায় মেনে চলুন-
হঠাৎই ঝাল লেগে গেলে ঝটপট ঠান্ডা দুধে চুমুক দিন। কারণঠান্ডা দুধ ঝাল কমিয়ে দিতে দারুণ কার্যকর। মুখের মধ্যেকার নার্ভ রিসেপটরগুলি থেকে মরিচের ক্যাপসাইসিন মলিকিউলগুলিকে সরিয়ে দেয় দুধে উপস্থিত কেসিন নামক একটি প্রোটিন। দুধে উপস্থিত ফ্যাট জিভ আর মুখে একটা পরত তৈরি করে, সেটা জ্বালাভাব কমিয়ে দেয়।
ঝাল দূর করতে বরফ না ঘষে বরং আইসক্রিম খান। আইসক্রিমে দুধ থাকে এবং তা ঠান্ডা, ফলে ঝাল কমাতে খুব কার্যকর। ঠান্ডা ফল আর দুধ/ আইসক্রিমে তৈরি মিল্কশেকেও খুব ভালো কাজ হয়।
ঝাল দূর করতে মিষ্টি আসলেই কার্যকর। চিনি ঝালের চোটে জ্বলতে থাকা কোষগুলোর উপর মোলায়েম একটা পরত তৈরি করে। হাতের কাছে সন্দেশ নেই, চকোলেট আছে? তাতেও কাজ হবে।
এসবকিছুরই দরকার পড়বে না যদি ভাতের থালা সামনেই থাকে। একটু ভাতের সঙ্গে লেবু চিপে খান, তাহলে ঝালটা সহনীয় হয়ে আসবে।