জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনায় বঙ্গোপসাগরে হবে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, ২০২০-২০৩০’ প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এই পরিকল্পনার আওতায় বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে হবে একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) পরিকল্পনাটি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদন পায়নি। এটিকে আরও পর্যালোচনা করতে বলেছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, এটা (মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা) আজকে অনুমোদিত হয়নি। পর্যবেক্ষণ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে আলোচনার পরে এটিকে আরেকটু রিভিউ করতে বলা হয়েছে। কারণ একটি বিষয় হলো যেকোনো নীতি, স্ট্র্যাটেজি বা চুক্তিতে যদি আর্থিক বিষয় থাকে, তাহলে ফাইন্যান্সের একটা ভেটিং নিয়ে আসতে হবে। এটা ফাইন্যান্সের ভেটিং ছিল না। সেজন্য কিছু কিছু অবজারভেশন আছে, সেগুলো দেখে আর ফাইন্যান্সের কাছ থেকে ভেটিং নিয়ে তারপরে আবার উপস্থাপন করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই সমৃদ্ধি পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে টেকসই সমৃদ্ধি, জ্বালানি আমদানি নির্ভরতা কমানো, কর্মস্থানের জোরদার করা এবং প্রচলিত জীবনযাপনের উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা।

‘এজন্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, আর্থিক নীতি ও কাঠামোর মধ্যেই পরিকল্পনাটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, এর একটি স্ট্র্যাটেজি দেওয়া হয়েছে। এখানে প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নের বিষয়ও আনা হয়েছে। একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরিকল্পনাটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরের মহীসোপানে (সমুদ্রের দিকে এবং পানির নিচে উপকূলীয় স্থলভাগের বর্ধিত অংশ) ৪ গিগাওয়াট একটি বায়ুবিদ্যুৎ নেটওয়ার্কের প্রজেকশন দেখানো হয়েছে।’

পরিকল্পনায় কয়লা, তেল, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নসহ প্রজেকশন দেখানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের পজিটিভ বা নেগেটিভ যে বিষয় আছে, এগুলো সবাইকে অবহিত করা, বিশেষ করে ওদের একটি প্রজেকশন দেখানো হয়েছে। প্রায় ৮০ বিলিয়ন ডলারের ইনভেস্টমেন্ট করতে হবে এখানে এবং আমাদের জিডিপিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার অ্যাড হবে। এই স্ট্র্যাটেজি নিয়ে এটি এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল।