কিংবদন্তি সাংবাদিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের মরদেহ তার জন্মস্থান সন্ধ্যা নদী তীরের গ্রাম বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌঁছেছে। বুধবার দুপুর ২টা ২৩ মিনিটে মরেদেহ নিয়ে ঢাকা থেকে যাওয়া হেলিকপ্টারটি স্থানীয় হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম সারওয়ারের বাসভবন ‘সিতারা’য়।
বানারীপাড়া সরকারি মডেল ইনস্টিটিউশন মাঠে গোলাম সারওয়ারের প্রথম জানাজা হবে। একাত্তরের রণাঙ্গনের যোদ্ধা গোলাম সারওয়ার মুক্তিযুদ্ধের পর কয়েক মাস এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। জানাজা শেষে তাকে আবারও ঢাকায় আনা হবে। বুধবার রাতেও মরদেহ রাখা হবে বারডেমের হিমঘরে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় গোলাম সারওয়ারের মরদেহ নিয়ে আসা হবে তার প্রিয় কর্মস্থল সমকাল কার্যালয়ে। এখানে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ব্যবস্থাপনায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সমকাল সম্পাদকের মরদেহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা জানানোর পর সেখান থেকে দেশবরেণ্য এই সাংবাদিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে। দীর্ঘ কর্মময় জীবনের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়েছেন তার এই প্রিয় প্রতিষ্ঠানে। সংবাদকর্মীরা সেখানে গোলাম সারওয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। বাদ জোহর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ আসর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন তিনি।
নিউমোনিয়া ও ফুসফুসের সংক্রমণ ঘটার পর ২৯ জুলাই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি গোলাম সারওয়ার। অবস্থার অবনতি হলে ৭৫ বছর বয়সী এই সাংবাদিককে ৩ আগস্ট সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে আনা হয় সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ারের মরদেহ। বিমানবন্দরে শোকার্ত সহকর্মী-স্বজনরা তার কফিন গ্রহণ করেন।