ছুরির ভয় দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেনে মুখোশধারী ব্যক্তি। এক পর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে গৃহবধূকে চড়-থাপ্পড় দেন তিনি। এতে অচেতন হয়ে দুই ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলেও মুখোশধারীকে চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ওই গৃহবধূ।
শনিবার (১২ মার্চ) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পার্বতীনগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) এলাকায় ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘স্ত্রী-সন্তানদের ঘরে রেখে শনিবার সকালে কাজে বের হই। পরে খবর পাই মুখোশধারী কে বা কারা বাসার সীমানা প্রাচীর টপকে ভেতরে ঢুকে। এ সময় স্ত্রী ছোট মেয়েকে নিয়ে উঠানে দাঁড়িয়েছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখোশ পরা এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি নিয়ে স্ত্রীকে তেড়ে আসে। সে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়। স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় উঠানে থাকা একটি পর্দার কাপড়ে এলোপাতাড়ি কোপায়।’
জ্ঞান ফেরার পর গৃহবধূ বলেন, ‘মুখোশধারীর ব্যক্তির কাছ থেকে বাঁচার জন্য বহুবার আকুতি করেছি। ধর্ষণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে আমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে চড়-থাপ্পড় দেওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে তিনজন-চারজন জড়িত থাকলেও ভেতরে একজন ঢুকেছে। আমার সঙ্গে বাসায় আড়াই বছরের শিশুকন্যা ছিল।’
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। জ্ঞান ফেরার পর গৃহবধূ জানিয়েছেন, তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি থানায় লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দিয়েছি।’