ছাত্র-জনতার বিজয়ে কে কী বললেন তারকারা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ মাস আগে

পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নানা সহিংসতার পর শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের একদফা দাবির মুখে সোমবার (৫ আগস্ট) পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। সোমবার শাহবাগমুখী হাজার হাজার মানুষের মিছিলে ছিলেন অনেক তারকাও। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকেই।

 

ছাত্রদের ঐতিহাসিক বিজয়ের পর ‘শুধু ভালোবাসাটুকু থাক আর সব মুছে যাক’ গানটি শেয়ার করে ফেসবুকে ব্যান্ড তারকা জেমস লেখেন, ‘জয় তরুণের জয়।’

 

 

কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা লেখেন, ‘অহংকারীর পতন অনিবার্য। আলহামদুলিল্লাহ। সবাই দেশ ও দশের জানমালের হেফাজতে সচেষ্ট হোন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। ইনশা আল্লাহ শান্তি বজায় থাকবে।’

 

শিল্পী বাপ্পা মজুমদার তার ফেসবুক প্রোফাইলে লেখেন, ‘শান্তি ফিরে আসুক! সবকিছু সুন্দর হয়ে উঠুক! জেন. জেড… তোমরা করে দেখিয়েছ। স্যালুট।’

 

কণ্ঠশিল্পী অদিতি মহসিন লেখেন, ‘আমরা কেউ যেন বিশৃঙ্খল না হই। আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ভাইবোনদের আমরা পাহারা দেব। দেখে রাখব। রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট করব না!’

 

চিরকুট ব্যান্ডের প্রধান শারমিন সুলতানা সুমি জাতীয় সংগীত শেয়ার করে লিখেছেন, ‘আমার দেখা শ্রেষ্ঠ দেশ, আমার শোনা শ্রেষ্ঠ সংগীত, আমার চেনা শ্রেষ্ঠ তারুণ্য; বাংলাদেশ জিতলে, জিতে যাই আমরা।’

 

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস লেখেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।’

 

অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা তার প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘স্বাধীনতা মানে দায়িত্বশীলতা। নতুন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়। ন্যায়বিচার ও সাম্যের দেশ গড়া। আমাদের সন্তানদের, ছাত্রদের ত্যাগের কথা যেন ভুলে না যাই।’

 

অভিনেত্রী কাজী নওশাবা লিখেছেন, ‘১৯৫২, ১৯৭১, ২০২৪-এর সকল শহীদের সত্তায় ধারণ করে, এখন পথ চলতে হবে ধীর পায়ে, শান্ত মননে! সত্য, সহমর্মিতা হবে আমাদের শক্তি!’

 

অভিনেত্রী সাবিলা নূর লিখেছেন, ‘একটি বাংলাদেশ তুমি জাগ্রত জনতার। এই স্বাধীনতা তোমাদের, পুরোটাই তোমাদের। জেমস অব জেন. জেড তোমরা আসল হিরো। একেই বলে তারুণ্যের জয়।’

 

অভিনেত্রী শানারেই দেবী শানু লেখেন, ‘ইতিহাস যুগে যুগে দেখিয়েছে অস্ত্র দিয়ে আর যা-ই হোক, সময়কে বেঁধে রাখা যায় না, সময় চুপ থাকতে পারে না। সময় তার সময় মতো যুগে যুগে কথা বলেছে, নির্বাক হয়ে থাকা অভিমানেরাও স্লোগান হয়ে রাজপথে গর্জে উঠেছে। বাংলাদেশ তার আপন ছন্দে নতুন করে জেগে উঠুক। বাংলার মানুষ এবার একটু শান্তি চায়। আর কোনো হিংস্র রাজনীতির শিকার না হোক কেউ।’

 

নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন লিখেছেন, ‘বিজয় উৎসব করুন; কিন্তু যারা লুটপাট ও আগুন দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।’

 

অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোল লেখেন, ‘জনগণের ইচ্ছার মূল্য না দিয়ে পৃথিবীতে কোনো শাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। এটাই ফর্মুলা।’

 

নির্মাতা শিহাব শাহীন লিখেছেন, ‘গেম ওভার। প্রমাণিত হলো অহংকার পতনের মূল! এবং নিশ্চয়ই সকলকে একদিন না একদিন তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হয়।’

 

নির্মাতা রায়হান রাফী লিখেছেন, ‘সাধারণ মানুষদের কাছে আহ্বান, বিজয় উৎসব করুন, কিন্তু দেশের অনেক জায়গায় কিছু মানুষ লুটপাট ও আগুন দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।’

 

আরেক নির্মাতা আশফাক নিপুণ লেখেন, ‘শেখ হাসিনার দীর্ঘ একনায়কতন্ত্র থেকে বাংলাদেশ মুক্ত। কৃতজ্ঞতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছাত্র ও আমার দেশের মানুষের প্রতি, এটা সম্ভব করার জন্য! এটা তো মাত্র শুরু। আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে সংস্কার করব।’