এডভোকেট মোঃ কাওসার হোসাইন:: যেকোন রাষ্ট্রের চিকিৎসাসেবা খাত একটি গুরুত্বপূর্ন খাত।কোন মানুষ অসুস্থ্য হলে ভরসা ও বিশ্বাস নিয়ে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য চিকিৎসালয়,চিকিৎসক বা চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের কাছে যায়।এটি একটি সেবামূলক খাত হওয়ায় চিকিৎসা সেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট সবার উচিত সেবামূলক মানসিকতা নিয়ে অসুস্থ্য রোগীদের যথাযথ সেবা প্রদান করা।কারো কারো মধ্যে এমন মানসিকতা এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখা ও যায়।কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় মানুষের অসুস্থ্যতার দুর্বলতাকে পুজি করে অধিক মূনাফা লাভের ঘৃন্য ও হীন কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে চিকিৎসা সেবা প্রদানের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
অতিরিক্ত ফি আদায়,চিকিৎসা অবহেলায় মৃত্য ঘটানো,রোগীর স্বজনদের মারধোর,দূর্ব্যবহার,সংবাদ কর্মীদের মারধোর,লাঞ্চিত করা,লাইসেন্স ছাড়া বা নবায়ন না করে মেডিকেল চালানো,পরিবেশগত ছাড়পত্র না থাকা বা চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশের অভাব,বিধি মোতাবেক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা,ভূয়া মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান,কর্মস্থলে ডাক্তারদের অনুপস্থিতি,অনুমোদনহীন বা মেয়াদ উত্তীর্নওষুধ বিক্রি,ভুল চিকিৎসা করা সহ চিকিৎসাখাতের নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অসংখ্য ঘটনা গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে আমরা নিয়মিত দেখি বা জানতে পারি।
এজাতীয় অন্যায় বা অনিয়মের বিষয়টি যখনই সামনে চলে আসে তখন কখনো চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক,কখনো চিকিৎসক,কখনো সংশ্লিষ্ট কর্মচারী বা অন্যান্যদের অন্যায়,অপরাধ,খামখেয়ালীপনা, লোভী মানসিকতা কিংবা অমানবিক কর্মকান্ড প্রকাশিত হয়।তখন সবার মাঝে উক্ত বিষয়টি নিয়ে আলোচনা,সমালোচনা বা হইচই শুরু হয়ে যায়।চিকিৎসা খাতের এজাতীয় অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা,অপরাধ বা দুর্নীতি যাদের নিয়ন্ত্রন বা প্রতিরোধ করা দরকার তারাও তখন তৎপর হয়ে উঠে,যদিও তারা নিয়মিত চিকিৎসাখাত সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী বিধি মোতাবেক তদারকি,নিয়ন্ত্রন ও যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করলে এজাতীয় অনিয়ম,অব্যবস্থাপনা,দুর্নীতি বা অপরাধ ব্যাপক হবার কথা না।